হিফজুর রহমান তুহিন: কমলগঞ্জ এলাকায় বন্যায় ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বুরো মৌসুমে অধিক জমিতে ধান সবজি আবাদের কৃষকের প্রস্তুতি শুরু, আমন ধান কাঁটা শেষ, উঠানেও তোলা শেষ। ধূঁ-ধূঁ ফাকা বিল। তার মাঝে যেখানে, খাল-পুকুর আছে সেখানে চাষ হচ্ছে বোরো ধান ইতোমধ্যে বীজতলা তৈরী করে ধান আবাদে মাঘের কনকনে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর হতে জমিতে ধান রোপনের কাজ করেছে কৃষকরা।গত মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে বন্যার কারনে আমন। সময় বদলের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা। তাই কমিনিউটি আদর্শ বীজতলা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলাছে কৃষকের ধারনা। বিশেষ করে প্রযুক্তির ছোয়ায় প্রতিনিয়ত আমূল্য বদলে যাচ্ছে এখানকার কৃষিতে। তার মাঝে আবার জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্পের আওতায় শীতকালীন সবজি চাষ করছে। দেখা যায় সবজির খেত প্রদর্শনী খামার। ফলে শীতকালীন সবজিতে মনোরম এ সকল ক্ষেত।কমলগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদ্রুত পাল ও গোপাল দত্ত জানান গত মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে বন্যার কারনে আমন-আউশসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় সেই ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে বোরো সবজি চাষে।এ মৌসুমে কমলগঞ্জ পতনঊষার ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ হেক্টর ফাকা আবাদি জমিতে বুরো ক্ষেত চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে যা গত মৌসুমের তুলনায় বেশি। আবার বসতবাড়ির আঙ্গীনায় ছোট ছোট সবজির চাষও চোখে পড়ে।অত্র উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ সব মিলে বর্তমানে কৃষকদের বুরো চাষে ব্যস্ত সময়।