গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তরুণ ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমদ দিপু (১৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নিহত দিপুর মা সালমা বেগম ( মামলা নং- ১০, তাং-২৭,১২,১৭) এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দিপুর আপন চাচা অপুল মিয়া (৪৫) কে প্রধান আসামী এবং চাচাতো ভাই অনিক আহমদ (২০) কে ২ নং আসামী ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আটককৃত ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্দেহজনক আটককৃত আপন চাচা অপুল মিয়ার ঘর থেকে তার রক্তমাখা শার্ট, লুঙ্গি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপন চাচা কর্তৃক পূর্ব শত্রুতার জেরে তোফায়েল খুন হয়েছেন বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারনা। তবে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে মূল রহস্য উদঘাটন হবে। ঘটনার পর গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে সন্দেহজনক দিপুর আপন চাচা অপুল মিয়া, অনিক আহমদ ও বন্ধু লায়েক আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডে লায়েক আহমদদের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর দুজনকে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় কোর্টে চালান দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আপন চাচা ও তার ছেলে কর্তৃক এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তাদের ঘর থেকে রক্তমাখা শার্ট ও লুঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ, যা ঘটনা দিন আসামী পরিহিত ছিল। এছাড়া যে রড দিয়ে তোফায়েলকে হত্যা করা হয়, সেই রড নিহতের চাচার বলে জানা গেছে। আটককৃত লায়েক আহমদের এ ঘটনার সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে জবানবন্দি নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর দুই আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
