অনলাইন ডেস্কঃ বর্বর। পৈশাচিক। শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখেছে মাত্র ১১ মাস আগে। অথচ এই সময়ের মধ্যেই তাকে চরম পৈশাচিকতার শিকার হতে হয়েছে। শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিম দিল্লী বিকাশপুরীতে একটি অস্থায়ী নিবাসে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল শিশুটি। ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় পাষণ্ড ধর্ষক।
প্রসঙ্গত ঘটনাটি একবছর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও ভারতের পাঞ্জাব ভিত্তিক পিটিসি নিউজ ৫ অক্টোবর ও ডেইলী পাকিস্তান গত ৭ অক্টোবর এই ঘটনা প্রকাশ করে। এরপর সেটি আবার নতুন করে ভাইরাল হয়ে যায়।
জানাযায়, ৩৬ বছর বয়সী ধর্ষক একজন নির্মাণ শ্রমিক। সে কাজের উদ্দেশ্যে বিহার থেকে নিয়মিত দিল্লী আসা যাওয়া করে। সেদিন রাত ১০ টার দিকে অভিযুক্ত ধর্ষক শিশুটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে। রাত ১১ টার দিকে শিশুটির মা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে তারা সন্তান নেই। তখন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে শিশুটির খোঁজ শুরু করে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকীর বাহিনী। অনেক পরে তারা শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আতঙ্কে কেপে উঠে শিশুটির বাবা। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, শিশুটির শরীর থেকে ভয়ঙ্কর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছিল যে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধর্ষক নির্মাণ শ্রমিকের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। মোবাইলের সূত্র ধরে তাকে পাশের নির্মান শ্রমিকদের থাকার জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপরাধী তার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অপরাধী জানিয়েছে, সে শিশুটিকে ঝোপের ভেতর নিয়ে গিয়ে প্রায় দুইঘন্টা যাবত পাশবিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তাকে ফেলে চলে আসে।