অনলাইন ডেস্কঃ সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা করেছে। ভূগর্ভে এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।
বিশ্লেষকরা
ধারণা করছেন, জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা আমেরিকা ফেলেছিল এটি তার চেয়ে ৭.৮
গুণ বেশি শক্তিশালী। উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ বোমার বিস্ফোরণ ক্ষমতা ১০৮
কিলোটন ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য, হাইড্রোজেন বোমার নিয়মিত ক্ষমতার
মাত্রার মধ্যেই পড়ছে এটা। থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা কতো শক্তিশালী করা যাবে
তার কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই।
পরমাণু
বোমা তৈরি হয় নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার বিদারণের মাধ্যমে। হাইড্রোজেন
বোমা তৈরি হয় একীভূতকরণ বা ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অবশ্য ‘ফিশন’ ছাড়া
‘ফিউশন’ ঘটানো যায় না। ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’ ঘটিয়ে হাইড্রোজেন বোমা বানানোর
জন্য বিপুল তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এ তাপমাত্রা সৃষ্টি করা হয় ‘নিউক্লিয়ার
ফিশন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তাপ সৃষ্টির কাজটি করা হয় পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ
ঘটিয়ে। এভাবে হাইড্রোজেন বোমায় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দু’টি বিস্ফোরণ
ঘটানো হয়।
প্রথমটি
ঘটে ফিশনের মাধ্যমে আর দ্বিতীয়টি ঘটানো হয় ফিউশনের মাধ্যমে। ফিউশন
প্রক্রিয়ায় দুই বা তার চেয়ে বেশি হাইড্রোজেন পরমাণুকে একত্রীভূত করা হয়। এই
কারণে বোমাটির নামের আগে যুক্ত হয়েছে হাইড্রোজেন। ফিউশনের জন্য ১০ লাখ
ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা প্রয়োজন পড়ে। এটি দ্রুত যোগাড় করা খুব
সহজ নয়। এজন্যে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করাও তুলনামূলক ভাবে কঠিন।
জাপানের
হিরোশিমার প্রথম প্রজন্মের মার্কিন বোমার ক্ষমতা ছিল ১৩ থেকে ১৮ কিলোটন।
এই বোমায় একটি মাত্র বিস্ফোরণ ব্যবস্থা ছিল। হাইড্রোজেন বোমার মতো দ্বিতীয়
প্রজন্মের বোমায় রয়েছে দুটি বিস্ফোরণ ব্যবস্থা। এতে ধ্বংস ক্ষমতা শত শত গুণ
বেড়ে যায়। হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণে লাখ লাখ ডিগ্রি তাপমাত্রার সৃষ্টি
হয়। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোর।