অনলাইন ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২ জনের মৃত্যু। বন্যা-কবলিত বিহারে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮২ জনে।
উত্তরপ্রদেশেও বন্যায় আরও পাঁচজনের মৃত্যুর জেরে মৃতের সে রাজ্যে ১০১। তবে বৃষ্টিপাত কমায় পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে ভারতের উত্তরবঙ্গে।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গেছে, বিহারে ১৯টি জেলা এখনও পানির নিচে। ফলে প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। ১৮৭টি ব্লক ও আড়াই হাজার পঞ্চায়েত এলাকা পানির তলায়। সরকারের ২২২টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ। শুধুমাত্র আরারিয়া জেলাতেই ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়। এছাড়াও মৃত্যু হয়েছে কাটিহার, পুর্ণিয়া, পশ্চিম চম্পারন, গোপালগঞ্জ, মুজফফরপুর, সমস্তিপুর, মাধেপুরা-সহ বহু জেলায়।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, পশ্চিম চম্পারন ও রাজ্যের উত্তর-মধ্য, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াল হওয়ারই আশঙ্কা। রাপ্তি, ঘাঘারা, রোহিনী নদীর পানি ঢুকে পড়েছে লখিমপুর খেরি, বরাবাঁকি, ফইজাবাদ, বালিয়া, গোরক্ষপুর, সিদ্ধার্থনগরে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে যে ৬ জেলা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই সব জেলায় প্লাবিত অংশে পানি অনেকটাই নেমেছে। মৃতের সংখ্যা এখনও ৯০।
রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও মালদায় গত কয়েকদিনে বৃষ্টি প্রায় হয়নি। চালু হয়েছে বাস পরিষেবাও।
তবে প্লাবনে উত্তরবঙ্গে প্রায় ৬ লাখ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার কোটি টাকা।