অনলাইন ডেস্কঃ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার
তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, সিংঙ্গীমারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ লাখ
মানুষ পানিবন্দি।
বন্যার পানির স্রোতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রেললাইনের নিচে প্রায় সব মাটি সরে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্তের।
প্রবল
বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণেই প্রবল স্রোতের সৃষ্টি
হয়েছে। এতে বর্তমানে রেললাইনটি পরিণত হয়েছে একটি ঝুলন্ত সেতুতে!
জেলার
রেলওয়ে কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যায়
লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথের হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড় এলাকায় লাইনের নিচ
দিয়ে প্রচণ্ড বেগে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের
সৃষ্টি হয়। এ কারণে গত কয়েকদিন থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে সারাদেশের
রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এই রেললাইন কবে সচল হবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে
পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়
বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, রেলপথ ভেঙে যাওয়ার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়
আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বুড়িমারী-লালমনিরহাট সড়কপথে ছোটবড় খাল তৈরি
হওয়ায় চলাচলে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট
রেলওয়ে বিভাগীয় সদর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন,
বুড়িমারী-পাটগ্রাম রেলওয়ে লাইনের পাটগ্রাম ব্র্যাক অফিস এলাকায় ধরলার পানির
ধাক্কায় একটি রেলব্রিজের পাশে রেলওয়ে লাইন সড়ক ভেঙে গেছে।
একই
রুটের হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের
মাঝামাঝি স্থানে তিস্তার পানির ধাক্কায় রেলওয়ে লাইন ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে
এই রুটের পারুলিয়া-ভোটমারী রেলওয়ে লাইনের মাঝামাঝি স্থানেও তিস্তার পানির
ধাক্কায় রেলওয়ে লাইন ভেঙে যায়।
এই
রেলওয়ে রুট সংস্কার না করা পর্যন্ত ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে
জানিয়েছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় সদর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
নাজমুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, পানি নেমে যাওয়ার পর এ রুটের ভাঙা স্থানগুলো সংস্কার করে আবার ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে।
