অনলাইন ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল পিনাক-৬ দুর্ঘটনার পুনঃতদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
এছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহায় নৌ-নিরাপত্তার জন্য ৯টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে জাতীয় কমিটি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কমরেড মণি সিংহ সড়কের মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি ও সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিএর সাবেক পরিচালক এমদাদুল হক বাদশা, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টেও সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তাসনিম রানা, জাতীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল ও সেকেন্দার হায়াৎ, অর্থ সম্পাদক পুষ্পেন রায়, প্রচার সম্পাদক জসি সিকদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, পিনাক-৬ দুর্ঘটনার পুনঃতদন্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নৌ দুর্ঘটনা তদন্তে সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তাতে নৌ-প্রকৌশলী, পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, নৌ-পরিবহনবিষয়ক গবেষক, নৌযান মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
লিখিত বক্তব্যে আশীষ কুমার দে বলেন, এ ধরনের একটি ক্রুটিপূর্ণ কমিটি পিনাক-৬ দুর্ঘটনার তদন্ত করায় শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এই কমিটির প্রতিবেদনে মূল অভিযুক্তদের আড়াল করে ‘উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চাপানো হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি না পাওয়ায় পরবর্তী সময়ে অয়েল ট্যাংকার বিস্ফোরণে সুন্দরবন ট্রাজেডিসহ গত তিন বছরে বেশ কয়েকটি আলোচিত নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব কারণে বিশেষজ্ঞ মহলসহ সাধারণ মানুষ নৌ-নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
সংবাদ সম্মেলনে পিনাক-৬ দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠন, প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, সব নৌ-দুর্ঘটনায় নিহতদের জনপ্রতি পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি প্রদান, নৌযান মালিকসহ দায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা আদায়, নৌ-দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও তাদের ‘মৃত’ হিসেবে গণ্য করে সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
