স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার জেলায় তৃতীয় দফা বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ৩০ জুন
শুক্রবার বিকেলে উজানে বৃষ্টিপাত হলে কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার
বন্যা আক্রান্ত এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে উঁচু এলাকা প্লাবিত
হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বড়লেখা-মৌলভীবাজার সড়কের কয়েকটি স্থানে বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে গিয়ে
জেলা সদরের সাথে বড়লেখা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
অনেকেই
নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জুড়ী উপজেলা
পরিষদ, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভেতর সহ কুলাউড়া পৌর এলাকার ৩টি ওয়ার্ড
প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে
রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের
কাদিপুর, নাজিরাবাদ ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ
সব এলাকার রাস্তাঘাট সহ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০টি স্কুল, প্রাইমারী ও
মাদ্রাসা পর্যায়ে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
মৌলভীবাজার
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জানায়, বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার সোনাই,
কন্টিনালা, জুড়ী নদী ও শতাধিক পাহাড়ি ছড়া দিয়ে ঢলের পানি নামে। এ সব নদী ও
ছড়া দিয়ে ভারতের পানিও নামে। এ সব পানি হাকালুকি হাওর হয়ে কুশিয়ারা নদী
দিয়ে বের হয়। কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও শেওলায় ৭২ সেন্টিমিটার ও
শেরপুরে ২৪ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, মার্চ মাসের দূর্যোগের পর দফায় দফায় আশ্রয় কেন্দ্র সহ আক্রান্ত এলাকায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ অভ্যাহত রয়েছে।