সংলাপে 'না' ভোট ও সেনা মোতায়েন গুরুত্ব পাচ্ছে

অনলাইন ডেস্কঃ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ‘না’ ভোটের সুযোগ রাখার ব্যাপারে মত দিয়েছেন সুশীল সমাজের বেশির ভাগ প্রতিনিধি।

সোমবার বেলা ১১টার পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সংলাপ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংলাপ শেষ করে বেরিয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি।  

 সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে অন্তুর্ভুক্ত করা, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।  

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সেনা মোতায়েনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনা মোতয়েন ‘দৃশ্যমান’ করতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ইসি একতরফাভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সেনাবাহিনীকে যদি ফিলিং স্টেশন, রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যায় তাহলে কেন নির্বাচনী দায়িত্বপালনে যুক্ত করা যাবে না।

‘না’ ভোটের সুযোগ রাখা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের কোনো সুযোগ না রাখার দাবি জানিয়েছে তিনি বলেন,  এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে সবাই নির্বাচনে আসতে পারে।  

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েনের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ‘না’ ভোটের কথাও বলেন তিনি। 

Post a Comment

Previous Post Next Post