সিলেটে বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্কঃ সিলেট ও মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে বন্যা, আর এ জলাবদ্ধতার কারণে বন্যাকবলিত অঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছে সিলেটে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চলছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বরের কাটকাই গ্রামের শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যায় পানিবন্দি মানুষেরা বাধ্য হয়েই পানিতে চলাফেরা করছেন তাই নানা ধরণের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে অনেকের, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষে সদরে হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়াও জলাবদ্ধ হয়ে থাকা এলাকার শিশুরা নানা ধরণের রোগে ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের গজিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন রানা বলেন, বন্যার কারণে বাড়ি-ঘর ও নলকূপ পানিতে ডুবে যাওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। আমার ছেলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল। তাকে দু'দিন হাসপাতালে রাখতে হয়েছে।

ফেঞ্চুগঞ্জের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের কোন প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি।

তবে জলাবদ্ধ থাকায় ও স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ার কারণে শিশুরা শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো কিছু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তবে বিষয়টি এখনো মহামারীর পর্যায়ে যায়নি বলে জানান তিনি। এছাড়াও বড়রা মূলত চর্মরোগে ভুগছেন, তবে তার সংখ্যাটাও কম বলে জানান তিনি।

ডা. শফিকুল বলেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার পানি ঢুকছে বলে পানিবাহিত রোগের কোন প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি তবে সময় যত যাবে, ততই ডায়রিয়ার মতো নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ শিশুদের মধ্যে মহামারী আকারে দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, বন্যা আক্রান্ত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতি মুহূর্তের খোজখবর রাখছে যাতে কোন ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সাথে সাথে তা মোকাবেলা করা যায়।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কোন এলাকাতেই পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের সংবাদ পাওয়া যায়নি, তবে আশঙ্কা রয়েছে যে কোন সময় ডায়রিয়ার মতো নানা ধরণের রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ডা. হিমাংশু বলেন, প্রতিটি উপজেলায় পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবা দিতে কাজ করছে এছাড়াও বন্যার সময় সচেতনতা বৃদ্ধিতেও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পর্যাপ্ত ঔষধ ও অন্যান্য মেডিকেল দ্রব্যের মজুদ রয়েছে যা জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োজন পড়লে কাজে লাগবে বলেও জানান তিনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post