কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপ আজ শেকড়ের সন্ধানে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন উপাদান হচ্ছে এই বৃক্ষ। অথচ স্রষ্টা প্রদত্ত মানবজাতির এই বিশাল উপহার মানুষেরই অবহেলায় হারাতে বসেছে। ক্রমশ কমে যাচ্ছে গাছপালার পরিমান। যাতে করে দিন দিন হারাচ্ছে পৃথিবীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য। এমনকি এর অভাবে আমাদের পৃথিবীর অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখিন। সম্ভবত আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া থেকেই আমরা বৃক্ষরোপনে আগ্রহ বাড়ছে। দিনে দিনে এতে সম্পৃক্ত হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবুও প্রয়োজন এবং চাহিদার কথা বিবেচনা করলে এটা কিছুই না। তাই কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপ দেশের এবং বৈশ্বিক প্রয়োজন অনুধাবন করে বৃক্ষরোপনের আয়োজন করেছে । সবার ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনাতেই আজ (২৫জুলাই) সকালে কুলাউড়া নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে বৃক্ষরোপন আয়োজন অনুষ্টানে গ্রুপ সভাপিত মো. মোর্শেদ আলমের সভাতিত্বে ও সম্পাদক মো. সামসু উদ্দিন বাবু’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ.স.ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী, অতিরিক্তে পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউসুফ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম আহমদ,  ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন, ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক ও টুডে নিউজ ডট কমের সম্পাদক ও প্রকাশক আফাজুর রহমান চৌধুরী ফাহাদ, ডা: সুলতান আহমদ, এনসি স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুহেল আহমদ, গ্রুপের উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম, গফুর আহমদ, দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ ও নতুন দিন পত্রিকার প্রতিনিধি সুমন আহমদ, গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, গ্রুপের সহ সম্পাদক সুজন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ইউসুফ আহমদ ইমন, প্রিয় কুলাউড়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাইমিনুল ইসলাম মাহিন, সামাজিক সংগঠন সোস্যাল কেয়ার অব নেশনের সভাপতি খায়রুল কবির জাফর, দপ্তর সম্পাদক কামরান আহমদ, ইউনিট লিডার জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। 
 বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রতিষ্টানে প্রায় ৫শতাধিক বনজ, ফলজ এবং ভেষজ চারা রোপন করার কার্যক্রম উদ্ভোধন হয়। বৃক্ষরোপন পূর্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এ আয়োজনের উদ্দেশ্য শুধু শতাধিক চারা রোপন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা্ নয় বরং এর মধ্য দিয়ে আমাদের তরুন সমাজে তৈরী হবে গাছের প্রতি এক ধরনের মমতা যা তরুন সমাজকে এ জাতীয় কাজে আরো উদ্বুদ্ধ করবে। এ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত দশজন তরুনও যদি তার নিজের বাড়ি, বা এলাকায় এ কাজটি শুরু করে তাহলে এ ধরনের কর্মসূচি আরো দশগুন বেগবান হবে। অর্থ্যাৎ আরো দশটি গ্রাম বা শহরে একশজন একাজে সম্পৃক্ত হবে। মূলত এটাই আমাদের লক্ষ্য। তরুন সমাজের মাঝে বৃক্ষ সচেতনতা কিংবা বৃক্ষের প্রতি দরদ তৈরী করাই মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়োজন। তরুন সমাজের এমন মহতী উদ্যেগের কারনেই হয়তোবা উপস্থিত ছিলেন ব্যস্ত এবং সমাজের গুনী কিছু ব্যাক্তি। যাদের উপস্থিতি “মুক্ত স্কাউট গ্রুপ” নামের এই সংঘঠনকে দিয়েছে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা।

Post a Comment

Previous Post Next Post