স্পোর্টস রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের
প্রাক্তন ও বর্তমান বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২য় বারের মত
অনুষ্ঠিত হলো কেডিসি ক্রিক ফেস্ট ২০১৭।
২০০৪ সাল হতে ২০১৮ সালের ১২ টি ব্যাচের অংশগ্রহণে কুলাউড়া গাজীপুর মাঠে টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়।
২৭
জুন ২০১৭ ইং ঈদের পরদিন থেকে শুরু হয়ে ০১ জুলাই ২০১৭ ইং ঈদের ৬ষ্ঠ দিন
ফাইনাল খেলার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। ফাইনাল খেলায় কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের ২০০৮
ব্যাচ বনাম ২০১৬ ব্যাচ অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে ২০১৬ ব্যাচকে ৬ উইকেটে হারিয়ে
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ২০০৮ ব্যাচ।
২০১৬
ব্যাচ টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২
রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৯২ রান করেন হিমেল । অপরদিকে
১৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০০৮ ব্যাচ ৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটের
বিনিময়ে লক্ষ্যে পৌঁছায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩ বলে ৫৪ রান করেন শাওন।
খেলা
শেষে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হুমায়ুন শাহানের পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন
কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য সজল। অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আমিন
হোসেন, আয়োজক কমিটির সদস্য ও জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল প্রিয় কুলাউড়া ও
ডেইলি বিডি মেইলের সম্পাদক একেএম জাবের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ খান শাওন, প্রিয় কুলাউড়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও
আয়োজক কমিটির সদস্য মোহাইমিনুল ইসলাম মাহিন, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের
সাধারণ সম্পাদক সায়হাম রুমেল, আয়োজক কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল মান্না,
আরিফুল ইসলাম নাঈম, আবরার তাজওয়ার ও আমিন জাহান। এছাড়াও প্রতিটি ব্যাচের
প্রতিনিধিগণ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
পুরষ্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিটি ব্যাচের অংশগ্রহণকারী খেলোয়ারদের হাতে ক্রেস্ট
তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও রানার্স আপ ২০১৬ ব্যাচের হিমেল ১৭৩ রান ও ৬ উইকেট
নিয়ে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট ও টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করে
গোল্ডেন ব্যাট পুরষ্কার গ্রহণ করেন। চ্যাম্পিয়ন ২০০৮ ব্যাচের শাওন ৫৪ রান
করে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল পুরষ্কার গ্রহণ করেন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১০
উইকেট সংগ্রহ করে গোল্ডেন বল পুরষ্কার গ্রহণ করেন ২০১৬ ব্যাচের আলাল।
এছাড়াও প্রতিটি ম্যাচের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হলেন, ১ম ম্যাচে ২০০৪ ব্যাচের
খালেদ, ২য় ম্যাচে ২০০৮ ব্যাচের অয়ন, ৩য় ম্যাচে ২০১০ ব্যাচের অপু, ৪র্থ
ম্যাচে ২০১১ ব্যাচের এনাম, ৫ম ম্যাচে ২০১২ ব্যাচের তোফায়েল, ৬ষ্ঠ ম্যাচে
২০১৬ ব্যাচের সোহান, ৭ম ম্যাচে ২০১৫ ব্যাচের শাপুর, ৮ম ম্যাচে ২০০৪ ব্যাচের
সাহেদ, ৯ম ম্যাচে ২০১৪ ব্যাচের জোসেফ, ১০ম ম্যাচে ২০০৮ ব্যাচের অয়ন, ১১তম
ম্যাচে ২০১৬ ব্যাচের আলাল, ১২তম ম্যাচে ২০১১ ব্যাচের শাকিল, ১ম সেমিফাইনালে
২০০৮ ব্যাচের শাওন ও ২য় সেমিফাইনালে ২০১৬ ব্যাচের হিমেল। প্রত্যেককে একটি
করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।