অনলাইন ডেস্কঃ বিদেশ সফরে যেতে কোনো সাংবাদিক বাধা-বিপত্তিতে পড়বেন না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বিদেশ সফরে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর নজরদারির আদেশ দিয়ে গতকাল বুধবার একটি আদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে এ নজরদারি শুরু করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর (সাংবাদিক) ওপর এ ধরনের নজরদারি করার এই আদেশ প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে সাহায্য করার অনুরোধ জানান কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাসুদ করিম।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে সবসময় সহায়তা করা হচ্ছে। বিদেশি সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এখানে সবকিছু খোলা। সবাই সবখানে যাচ্ছেন। বিদেশ সফরে আমাদের সাংবাদিকদেরও কোনো বাধা নেই। কোনো বাধা দেওয়া হলে আমাকে জানান।
তবে মন্ত্রী বলেন, শুধু সাংবাদিক নয়, জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যারাই বিদেশে যান সবার ওপর নজর রাখা সরকারের কাজ। তার মানে এই না, সবাইকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মত স্বাধীন গণমাধ্যম পৃথিবীতে আছে? কিন্তু যা খুশি তাই লেখা হচ্ছে। বিদেশে গেলে কী করছে আমার মনে হয় দেখা উচিত। যদি স্বার্থবিরোধী কিছু করে সেটা পর্যহবেক্ষণে সবারই সমর্থন থাকা উচিত।
বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির ১২তম সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, বিদেশে সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করতে হবে। সাংবাদিকদের কর্মকাণ্ডে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছু পাওয়া গেলে দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে হবে।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সাংবাদিকদের বিদেশ সফরে গিয়ে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে থাকে বলে মনে করে কমিটি।