সেনানিবাস এলাকায় মলমূত্র ত্যাগ ও মাতলামী করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

সেনানিবাস এলাকায় মলমূত্র ত্যাগ ও মাতলামী করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা
অনলাইন ডেস্কঃ সেনানিবাস (ক্যান্টনমেন্ট) এলাকায় মলমূত্র ত্যাগ, মাতলামী ও ভিক্ষাবৃত্তি করলে ২০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রেখে সেনানিবাস আইন, ২০১৭ খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৫ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, এটা ১৯২৪ সালের আইন। ৯৩ বছরের পুরনো এ আইনে শাস্তিযোগ্য কাজের জন্য জরিমানার বিধান ছিল। তবে এর পরিমাণ খুবই সামান্য থাকায় এ আইনের খসড়ায় জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

আইনে ৪৩টি অনিয়মের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মাতলামী করা, ভিক্ষাবৃত্তি করা, জুয়া খেলায় লিপ্ত হওয়া, রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ করা- এমন খারাপ জিনিস যেগুলো উপদ্রপ সৃষ্টি করে এজন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।

তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টির সামনে খোলা অবস্থায় মাংস বহন করা, কোনো বিকলাঙ্গতা, ব্যধি বা অশোভন আঘাত অনাবৃত করে প্রদর্শন করার জন্যও শাস্তি আছে খসড়া আইনে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জরিমানা ২০ হাজার টাকা।

শফিউল আলম জানান, সেনানিবাস আইনের কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে আগে ১ টাকা জরিমানা করার নিয়ম ছিল। সংশোধনী অনুযায়ী, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কোনও আইন ভাঙলে ১ টাকার পরিবর্তে কমপক্ষে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে চাইলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর মধ্যে কাজ শেষ না হলে সর্বোচ্চ ৫ বার সময় বাড়ানো যাবে। তবে প্রত্যেকবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

শফিউল আলম আরও জানান, আগের সেনানিবাস আইনে বিনা লাইসেন্সে ব্যবসা করার শাস্তি ছিল ২০০ টাকা। এটা প্রস্তাব করা হয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার সর্বেচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা। পশুকে আবর্জনা ইত্যাদি খাওয়ানোর শাস্তি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post