‘মোরায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা পৌঁছানো হয়েছে,

অনলাইন ডেস্কঃ মোরায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জরুরিভিত্তিতে এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা পৌঁছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।


তিনি জানান, নৌ বাহিনীর একটা জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ত্রাণ সাহায্য নিয়ে রওনা দিয়েছে। সেনা ও বিমান বাহিনীকেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে।


আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও উপদ্রুত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাঁশে দাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিপদ সংকেত যখন থেকে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও তদারকি করেছেন। আমিও পার্টির পক্ষ থেকে রাত থেকে যোগযোগ করেছি। উপকূলীয় এলাকার ডিসিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সকালেও ডিসিদের সঙ্গে কথা বলে অবস্থা জেনেছি। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের সঙ্গে আলাপ করেছি, পরিস্থিতি জানতে চেয়েছি।’


ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বলেছি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়াতে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ ‘এখন সতর্ক থেকে পরে যেন শৈথিল্য প্রকাশ না পায় সে জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।


সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকার সবাইকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়েছে। যে কারণে ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে প্রাণহানির ক্ষয়ক্ষতি তেমন একটা হয়নি।


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি (ঘূর্ণিঝড়ে) ২০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চকরিয়ায় গাছ চাপা পড়ে একজন মারা গেছেন। কক্সবাজারে একজন মা তার শিশুকে নিয়ে ছুটাছুটি করতে গিয়ে শিশুটি হাত থেকে ফসকে যায়, শিশুটি মিসিং। এছাড়া আর কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চকরিয়ায় গাছ চাপা পড়ে আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।’


মন্ত্রী বলেন, ‘জানের ক্ষতি না হলেও মালামালের যে ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর, সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং আমাদের পার্টিকেও আমরা নির্দেশ দিয়েছে উপদ্রুত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাঁশে দাড়ানোর জন্য।’


ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারে রাতের শেষভাগ থেকে পানির একটা সমস্যা ছিল, ডিসি জানিয়েছেন সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।


মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোরা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। এরপর ৪-৫ ঘণ্টা সময় ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে।  এসময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ১০০ থেকে ১২৮ কি. মি. পর্যন্ত বেগে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post