অনলাইন ডেস্কঃ আজকাল ফ্যাশন দেখাতে গিয়ে অনেকেই শরীরের
ট্যাটু আঁকেন। কিন্তু এটা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে তা হয়তো তারা ভেবেও দেখেন
না। ঠিক যেমনটি হয়েছে বছর একুশের এক তরুণীর শরীরে।
ঘটনাটি
ঘটেছে থাইল্যান্ডে। জানা গেছে, গত বছর শখ করে গলা ও বুকের ঠিক মাঝামাঝি
ফুলের ডিজাইন করা একটি ট্যাটু করিয়েছিলেন কলেজ ছাত্রী পাসুদা রিও। তবে এটি
লেজার ট্যাটু নয়। এই ট্যাটু অনেকটা স্টিকারের মতো। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে
এমন ট্যাটুও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এই ট্যাটু করানোর পর থেকেই পাসুদার শরীরের
ওই অংশটি চুলকাতে ও জ্বালা করতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ট্যাটুটি
তুলে ফেলতে উদ্যোগী হন তিনি। কিন্তু ভাবতেও পারেননি এর পরিণতি কতটা
মারাত্মক হতে চলেছে!
‘রিমুভার
অয়েনমেন্ট’ লাগিয়ে ট্যাটু তুলতে গেলে শরীর থেকে চামড়া-সহ স্টিকারটি উঠে
আসে। যন্ত্রণায় দিশেহারা অবস্থার মধ্যেও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই
ভয়ঙ্কর দৃশ্য তুলে পোস্ট করেন পাসুদা। নিজের পোস্টে তিনি জানান, “আমি
লেজার ব্যবহার করতে চাইনি। ওর খরচ আর ওই ভাবে ট্যাটু করার যন্ত্রণা অনেক
বেশি। তাই এই ট্যাটুই বেছে নিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, কেন এই পদ্ধতিতে
ট্যাটু বানাতে গিয়েছিলাম!”
নিজের
এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে এই ভাবে ট্যাটু করার
ব্যপারে নিজের বন্ধুবান্ধবদের বার বার সতর্ক করেন পাসুদা রিও। সূত্র:
আনন্দবাজার পত্রিকা