অনলাইন ডেস্কঃ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা থাকছে না। নতুন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ আইনে ৫৭ ধারার বিষয়ে পরিষ্কার করা হবে। বর্তমান সরকারের বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার যে কোনো ইচ্ছে নেই, তা এ আইনে প্রমাণ করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংবাদিক ‘বজলুর রহমান ভাইয়া স্মৃতি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন’-এর খসড়া বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং (যাচাই-বাছাই) পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এর অস্পষ্টতা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে খেলাঘরের পক্ষ থেকে প্রথিতযশা সাংবাদিক তোয়াব খান, প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক, চিত্রশিল্পী আবুল বারক্ আলভী এবং শিক্ষাবিদ নিরঞ্জন অধিকারীকে ‘বজলুর রহমান ভাইয়া স্মৃতি পদক’ দেওয়া হয়।
অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আজমত উল্লা খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ প্রমুখ।
কী আছে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায়
(১ উপ-ধারা): ‘কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতি ভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷'
(২): ‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং ন্যূনতম সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷' সূত্র : প্রথম আলো