অনলাইন ডেস্কঃ
অকাল বন্যায় তলিয়েছে সুনামগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরাঞ্চল, নষ্ট হয়ে
গেছে ধান, মরেছে মাছ-হাঁস। তবে এবার হাহাকারকে বাড়িয়ে দিতে মরতে শুরু করেছে
হাওরাঞ্চলের গরু-মহিষ-ছাগল।
মঙ্গলবার
(২৫ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ও ছাতক উপজেলায় তিনটি মহিষ,
একটি ছাগল ও দুটি গরু মারা গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কৃষকদের
দাবি, হাওর তীরের ঘাস খেয়ে অসুস্থ্য হয়েই মারা যায় এসব গবাদী পশু, তবে পশু
সম্পদ কর্মকর্তারা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি।
মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভূরাখালি গ্রামে এক কৃষকের দুটি গরু মারা যায়।
এদিকে
মঙ্গলবারই সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাতাইকান্দি গ্রামে লাল মিয়া নামের এক
কৃষকের ৩টি মহিষ মারা গেছে। হাওরের পাশ্ববর্তী জমির ধান খেয়েই মহিষগুলো
মারা গেছে বলে জানান লাল মিয়া। এ গ্রামেরই আরেক কৃষকের একটি ছাগল মারা গেছে
বলেও জানান তিনি।
জগন্নাথপুর
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কামরুল আহমদ খান বলেন, গৃহপালিত পশুর
খাদ্য সংকটের কারণে গরুগুলোকে সারাদিক হাওরের পঁচা ঘাস খাওয়ানো হয়, ফলে
বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাতলা পায়খানায় মারা যায় প্রাণীগুলো।
ছাতক উপজেলা ভেটেরেনারী সার্জন ডা. আব্দুস শাহেদেরও ধারণা, হাওরের পানি দূষণ গবাদী পশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
জগন্নাথপুর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, কি কারণে গরুগুলো
মারা গেছে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আমরা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
এদিকে মৃত গবাদীপশুগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে রক্তের নমুনা সিলেট পশু সম্পদ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
পশু
সম্পদ অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক ডা. মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত
৪টি গরু-মহিষ মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি, যার মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা
সিলেটের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার পরই আসল কারণ নিশ্চিত
হওয়া যাবে। সুত্রঃ সিলেটটুডে