পুলিশের দাবি মৌলভীবাজারের ‘জঙ্গিরাই’ সিলেটে বিস্ফোরণ ঘটায়


অনলাইন ডেস্ক:  জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালে সিলেটে ‘আতিয়া মহলে’র অদূরে যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, সেটি মৌলভীবাজার বড়হাটের ‘আস্তানায়’ থাকা জঙ্গিরা গিয়েই ঘটিয়েছিল বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বড়হাটের অপারেশনটি একটু জটিল সেটা আপনাদের আমরা আগেই বলেছি। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, সিলেটে আমাদের তিনজন সাহসী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ, পরিদর্শক মনিরুল এবং আবু কয়সরসহ আরো চারটি নিরীহ প্রাণ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন বোমা বিস্ফোরণে। এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি আমরা টেকনোলজির মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখেছি, বড়হাট থেকে ওখানে গিয়ে আবার ফিরে আসতে পেরেছিল। এ কারণে আমরা বুঝতে পারছিলাম, এখানে প্রচুর বিস্ফোরক এবং উচ্চপর্যায়ের না হলেও মধ্যপর্যায়ের জঙ্গি রয়েছে।’

আজ  শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বড়হাটে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষে ঘটনাস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মনিরুল ইসলাম। 

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, বড়হাটে তিনজন আছে। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত, এর মধ্যে একজন সিলেটে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। সেই ব্যক্তির নেতৃত্বে, তিনিই ঘটিয়েছেন। সঙ্গে অন্য কেউ থাকতে পারে। সঙ্গে যে পুরুষ নিহত হয়েছেন, তিনিও হতে পারেন অন্য কেউও হতে পারেন। সেটি আমাদের জানা নেই।’

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য জীবিত ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাদের ন্যাচারালি বিচার হয়েছে।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ফতেপুরের নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে পুলিশ। নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সোয়াট দখলে নিলেও বড়হাটের আস্তানায় এখনো সোয়াট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গি আস্তানা বাড়ি দুটির মালিক লন্ডনপ্রবাসী সাইফুল ইসলাম।

গত ২৫ মার্চ থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির ‘জঙ্গি আস্তানা’ ‘আতিয়া মহলে’ অভিযান পরিচালনা করছিল সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালে সন্ধ্যা ও রাতে ‘আতিয়া মহলের’ অদূরে পরপর দুই দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মোট ছয়জন নিহত হন।

এঁরা হলেন পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মোহাম্মদ কায়সার, জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জান্নাতুল ফাহিম, স্থানীয় যুবক ওয়াহিদুল ইসলাম অপু (২৪), শহীদুল (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা একজন।

Post a Comment

Previous Post Next Post