স্পোর্টস ডেস্কঃ
প্রায় ১১ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
আগামীকাল (বুধবার) রাতেই সে উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছেন মাশরাফিরা। যদিও এর আগে
সাসেক্সে কন্ডিশনিং ক্যাম্প ও আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে তারা।
তাই মূল টুর্নামেন্টে নামার আগে প্রস্তুতিটা ভালোই হবে টাইগারদের। তবে
মাঠের খেলার প্রস্তুতির চেয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ
বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মঙ্গলবার
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি
বলেন, ‘এটা খুব কঠিন সফর হতে যাচ্ছে। প্রতিপক্ষ যারা আছে, তাদের দিকে
তাকালে মনে হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এতো সহজ হবে না। কিন্তু, বলাও যায় না;
আমরা ওই কন্ডিশনে ইংল্যান্ডকে দুইবার হারিয়েছি। কার্ডিফে একবার
অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছি। যদিও এগুলো ইতিহাস, তবে আমার কাছে এখনো মনে হয়
এটা সম্ভব। আমরা কিভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিবো, সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর
করে। আমরা যদি মানসিকভাবে প্রস্তুত না হতে পারে, তাহলে ২০-২৫ দিনের
প্রস্তুতি ক্যাম্পও তেমন একটা কাজে দিবো না।’
মানসিক
প্রস্তুতিটা কেমন তা বুঝাতে সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের
উদাহরণ টানেন মাশরাফি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে জয়ের সম্ভবনা থাকলেও
হেরে গেছেন তারা। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা সাড়ে তিনশ রানের লক্ষ্য প্রায় তাড়া
করে করলেও সেই একই রকম উইকেটে আমরা ২৮০ রান তাড়া করতে পারেননি। শুরুতে
উইকেট হারিয়ে চাপে পরি আমরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় বা তৃতীয়
ওয়ানডে এক উইকেটে একশ রান করার পর আমাদের ইনিংসে ধ্বস নেমে যায়।
তাই
এ নিয়ে অধিনায়কের অভিমত, ‘কিছু কিছু জিনিস থাকে, কিছু কিছু জায়গা থাকে
যেখানে শক্তভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। আমরা যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু
জায়গায় ব্যর্থ হয়েছি। কিছু জায়গায় আমাদের আরও দৃঢ় হতে হবে। ঠিক মত বিশ্লেষণ
করতে হবে। খেলাটা ঠিক মত পড়তে হবে, ওইখানে কি করলে আমরা বড় স্কোর করতে
পারবো। ২৮০/২৯০ রান আমাদের ইংল্যান্ডে করতেই হবে বা চেস করতে হবে। যত ভালো
বোলিং করি ২৮০ বা তিনশ রানের লক্ষ্য আমাদের চেস করতে হবে। আমাদের সেই
মানসিকতা রাখতে হবে। খুব ভালো শুরু এরপর নিজেকে সামলানো- এই ব্যাপারগুলো
নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে কাজটা হয়তো সহজ হবে।’