অবশেষে সিলেট সিটি মেয়র বসছেন নগরভবনে

অনলাইন ডেস্কঃ উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর মেয়রের দায়িত্ব নিতে এবার মন্ত্রণালয়ের চিঠি হাতে পেয়েছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আগামী রবিবার থেকেই তিনি নগরভবনের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছে তার একটি ঘনিষ্টসূত্র এবং মেয়র নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মেয়রের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত জেলা ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, ‘আদালতের আদেশের যথাযথ প্রতিফলনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের চিঠি হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফের দায়িত্ব নিয়ে তিনি নগরবাসীর খেদমত করতে এবং অপূর্ণ কাজগুলো সমাধান করতে সবার সহযোগিতা কামনা চেয়েছেন। রোববার থেকেই মেয়রের চেয়ারে বসবেন জানালেন তিনি।

গত ২৩ মার্চ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

আরিফের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি জানিয়েছিলেন, সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ২৩ মার্চ ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন।

এর মাধ্যমেই মেয়র হিসেবে আরিফুল হকের দায়িত্ব পালনে আইনগত কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই ব্যারিস্টার কাফির মন্তব্য।

গ্রেনেড হামলায় নিহত প্রয়াত তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আরিফ কারাগারে যাওয়ার পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বরখাস্তের ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরিফুল হক চৌধুরীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৩ মার্চ বরখাস্তের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত হয় হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে মেয়র পদে তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে ওই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৩ সালে ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

পরে শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফ।

ওইদিন আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর হয়। তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।

পরে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি মেয়র পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মাঝখানে মায়ের অসুস্থতার কারণে ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন আরিফ।

দীর্ঘ ২ বছর ৫ দিন কারাভোগের পর গত ৩ জানুয়ারি তিন ফের জামিনে মুক্তি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। সুত্রঃ সিলেটভিউ

Post a Comment

Previous Post Next Post