অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) অ্যাসেম্বলির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মনোমুগ্ধকর করে তুলতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনসহ সংসদ এলাকায় চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা ছাড়াও বাংলার চিরায়ত রূপ তুলে ধরা হবে উদ্বোধীন পর্বে।
থাকবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি। সেইসঙ্গে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো ফুটিয়ে তোলা হবে লেজার শো’র মাধ্যমে।
অনুষ্ঠান আকর্ষণীয় করে তুলতে এরই মধ্যে সংসদের ভেতরের রাস্তায় স্থাপিত হয়েছে নানা রঙের মরিচবাতি শোভিত বৃক্ষ। উদ্বোধনের আগে প্রতিরাতেই এখন মহড়া চলছে। আর রাতের সেই মোহনীয় দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়াচ্ছেন পথচারীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
20170329152202.jpg)
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বুধবার জাগো নিউজকে এ প্রসঙ্গে বলেন, আইপিইউয়ের সম্মেলন সফল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আলোকসজ্জা এখানে একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আকর্ষণীয় করে তুলতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাতে বিশ্ববাসী মুগ্ধ হয়।
এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ১৩১ দেশের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং সংসদ সদস্যসহ প্রায় ১৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের সমাবেশ এই প্রথম।
সম্মেলনে বহির্বিশ্বে একটি উদার, গণতান্ত্রিক ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংসদীয় সংস্থার এ সমাবেশ সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অনু্ষ্ঠান নিখুঁত করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই মহড়া চলছে। দিনের বেলা বিভিন্ন পরিবেশনার মহড়া চললেও রাতে আলোকসজ্জার মহড়া হয়। শব্দ ও আলোর প্রক্ষেপণ দেখে পথচারীরাও থেমে যান। অনেকে গাড়ি থামিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখেন এ আলোকসজ্জা।
কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা জিলানি সরকার সংসদ ভবনের সামনে আলোকসজ্জা দেখছিলেন। আশপাশে সবাইকে জিজ্ঞেস করেন কী হচ্ছে সংসদে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি কোনদিন এ ধরনের আলোর খেলা দেখিনি।’
মঙ্গলবার রাতে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অনু্ষ্ঠান নিখুঁত করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই মহড়া চলছে। দিনের বেলা বিভিন্ন পরিবেশনার মহড়া চললেও রাতে আলোকসজ্জার মহড়া হয়। শব্দ ও আলোর প্রক্ষেপণ দেখে পথচারীরাও থেমে যান। অনেকে গাড়ি থামিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখেন এ আলোকসজ্জা।
কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা জিলানি সরকার সংসদ ভবনের সামনে আলোকসজ্জা দেখছিলেন। আশপাশে সবাইকে জিজ্ঞেস করেন কী হচ্ছে সংসদে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি কোনদিন এ ধরনের আলোর খেলা দেখিনি।’
20170329152155.jpg)
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন সালমা বেগম। সংসদ ভবনের দেয়ালে আলোর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি দেখে তিনি মুগ্ধ। জাগো নিউজকে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে আর কত কি যে দেখমু।’
লেজার শো নিয়ে কাজ করছিলেন মনির হায়দার। তিনি জানান, আলো ও শব্দের মধ্যে সমন্বয় করে নাটকীয়ভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হবে। সেই আলোতো থাকবে বিভিন্ন রঙ। থাকবে মেঘ ও রংধনু। ফুটিয়ে তোলা হবে বৃষ্টিও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নকাজ সবকিছু সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হবে। এর অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণও দেখানো হবে। অনুষ্ঠানে দর্শক হিসেবে থাকবেন অভিনেতারাও। তারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
জাতীয় সংসদ ও আইপিইউয়ের যৌথ উদ্যোগে আগামী ১ থেকে ৫ এপ্রিল প্রথমবারের মত ঢাকায় ১৩৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক দেশের স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হবেন।
এবারের সম্মেলনে মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘সমাজের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সবার মর্যাদা ও মঙ্গল সাধন’।
ট্যাগ »
জাতীয়