'দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে'

'দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে'
অনলাইন ডেস্কঃ পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকারের পরিকল্পিত ও সুষম দারিদ্র্য বান্ধব কৌশল গ্রহণের করণেই দারিদ্র্য হার প্রত্যাশিত মাত্রায় কমে আসছে। চলতি অর্থবছরে প্রাক্কলিত দারিদ্র্যের হার ধরা হয়েছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালে দেশে দারিদ্র হার হবে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে মোয়জ্জেম হোসেন রতনের ( সুনামগঞ্জ-১) এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, দারিদ্র্যদের জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র্য ও দৃঃস্থদের জন্য বিনামূল্য খাদ্য বিতরণ, গুচ্ছ গ্রাম, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্যে দারিদ্র্যর হার কমিয়ে আনা হচ্ছে। তিনি জানান, ২০০৭- ২০০৮ আর্থ বছরে সামজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ছিল ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। বর্তামান ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি করে ৪৫ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা বাজেটের ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। তিনি আরো জানান, দারিদ্র্য এবং প্রান্তিক কৃষকদের মাছ এবং কৃষি পণ্য সংরক্ষণে সহায়তা দিতে চলতি অর্থ বছরে অতি দারিদ্র্রদের জন্য ১৬৫০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র মানুষের আত্ম-কর্মসংস্থা সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি মূলক পেশা নির্বাচন ও বিকল্প আয়ের উৎস সৃষ্টির জন্য 'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পর আওতায় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি পরিবারের ৪ কোটি মানুষকে পর্যায়ক্রমে দারিদ্র্য মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সাক্ষরতার হার হবে ৭০ শতাংশ: আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ( পটুয়াখালী- ৩) অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ি ৭ বছর ও তদুর্ধ জনসংখ্যান সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫ সালে ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৬৫ দশমিক ৬ এবং মহিলা ৬১ দশমিক ৬। অথচ ২০০৯ সালে সাক্ষরতার হার ছিল শতকরা ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মহিলা ৫৩ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে ৭০ উপরে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী জানান। 

Post a Comment

Previous Post Next Post