টেন্ডুলকারকে ব্যাটিংয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক ওয়েটার

টেন্ডুলকারকে ব্যাটিংয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক ওয়েটার
স্পোর্টস ডেস্কঃ এ জন্যই হয়তো তিনি শচীন টেন্ডুলকার। সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারই কেবল নন, একজন আপাদমস্তক মানবিক-ব্যক্তি। ক্রিকেট দিয়ে নিজেকে দেবতার আসনে বসাতে পারেন ঠিকই, কিন্তু বাস্তবের টেন্ডুলকার খুব সাধারণ, একেবারে মাটির মানুষ। মুম্বাইয়ের আর দশটা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলের মতোই তাঁর চাল-চলন।
টেন্ডুলকার কতটা সাধারণ, কতটা মানবিক, তাঁর উদাহরণ আছে অনেক। কিন্তু একটি ঘটনা তাঁর ব্যক্তি টেন্ডুলকারকে নিয়ে যায় অন্য এক উচ্চতাতেই। চেন্নাইয়ের এক রেস্টুরেন্টের এক ওয়েটারের পরামর্শ শুনে তিনি তাঁর এলবো গার্ডের ধরন পরিবর্তন করেছিলেন। আর পরিবর্তনের ফলে ব্যাটিংয়ের উন্নতি হয়েছিল।
খোলামনে মানুষের সঙ্গে মিশলে তা অনেক ক্ষেত্রে উপকারই করে। টেন্ডুলকার তাঁর সবচেয়ে বড় সাক্ষী। এক অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘মনটাকে খোলা রাখলে নিজের অনেক সমস্যারই সমাধান হতে পারে।’
চেন্নাইয়ের সেই রেস্টুরেন্ট ওয়েটারের পরামর্শ আন্তরিকতার সঙ্গেই শুনেছিলেন বলে জানালেন টেন্ডুলকার, ‘চেন্নাইয়ে একবার একটি রেস্টুরেন্টের একজন ওয়েটার আমার কাছে এসে বলেছিলেন, যদি কিছু মনে না করেন, আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই।’
টেন্ডুলকার তাঁকে অভয় দিলে সেই ওয়েটার তাঁর এলবো গার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে টেন্ডুলকার নিজেও ঠিক ওই সময় এলবো গার্ড নিয়ে সমস্যায় ভুগছিলেন। ওয়েটার তাঁকে বলেছিলেন, ‘এলবো গার্ডের সমস্যা আপনার ব্যাটিং ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এটির জন্য আপনার ব্যাট ঘোরাতেও সমস্যা হচ্ছে।’

টেন্ডুলকার ওয়েটারের পরামর্শ খুব গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছিলেন। পরে এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেন। নিজের এলবো গার্ডের নকশাও পরিবর্তন করেন, ‘আমি এলবো গার্ডের সমস্যাটা বোধ করছিলাম। কিন্তু ওটা তেমন পাত্তা দিইনি। পরে বেশ কয়েকবার এলবো গার্ডে বল লাগার পর বেশ ব্যথা পাই। আমি এর নকশা পরিবর্তন করি। সেই ওয়েটারের পরামর্শে বিন্দুমাত্র ভুল ছিল না। এই দেশে রাস্তার মোড়ের পানওয়ালা থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সবাই আপনাকে উপদেশ ও পরামর্শ দিতে চাইবে। কিন্তু মনটাকে খোলা রাখলে দেখবেন কোনো কোনো পরামর্শ সত্যি সত্যিই জীবনে কাজে লাগে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Post a Comment

Previous Post Next Post