সিলেটে কারাবন্দীদের ঈদ আনন্দ

এমদাদুর রহমান চৌধুরী  জিয়া: পবিত্র ঈদুল আজহার  দিন থেকে  ১০ জুন রোববার পর্যন্ত  টানা তিন দিন  ঈদ আনন্দ উপভোগ করে  সারাদেশের  কারাগারের ন্যয় সিলেট  মেট্রোপলিটন কারাগারের  বন্দিরা। 

বন্দীদের পছন্দের  প্রিয়জনের হাতের রান্না করা খাবার উপভোগ করে রোববার পর্যন্ত। টানা তিন দিন প্রিয় মানুষদের সাথে বেশি সময় সাক্ষাতের সুযোগ পান বন্দিরা। 

 গরু খাসি সহ বাহারি খাবারের পাশাপাশি  বাসা- বাড়ির মানুষের রান্না খাবার উপভোগ করে বন্দী ও দর্শনার্থীরা  বেশ আনন্দে থাকলেও শেষ দিন রোববার চোখের জল আর রাখতে পারছেন না তারা। কান্না করতে করতে আপনজনকে বন্দিশালায় রেখে চলে যেতে দেখা যায় নিজ গন্তব্যে দর্শনার্থীদেরকে। 

১০ জুন  রোববার বিকেল পর্যন্ত  এমন দৃশ্য দেখা যায় সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে। ঈদ মানেই আনন্দ  আর এর সবটুকু যেন পায় বন্দিরা  এমন মন মানসিকতা  নিয়ে  বন্দিদের  ঈদ আনন্দ  উপভোগ করানো হয়েছে  সিলেট মেট্রোপাল্টন কারাগারে বলে নিশ্চিত করেন ডিআইজি প্রিজন মো: ছগির মিয়া।

তিনি বলেন, বন্দিদের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে  আদায় করা হয়েছে ঈদের জামাত। স্বজন প্রিয়জনদের মত  আন্তরিকতার সাথে  কুলাকুলি ও কুশল বিনিময়  করা হয়েছে। খোঁজখবর নেয়া হয়েছে  শারীরিক সুস্থতা ও বিভিন্ন বিষয়ের। 


সিলেটে  মেট্রোপলিটন কারাগারে  পাঁচশতাধিক এরও বেশি  বন্দিদের  উপস্থিতিতে  কারা কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে  অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত  এতে ইমামতি করেন মাওলানা  অলিউল্লাহ।

 আনন্দগনপরিবেশে  বন্দীদের ঈদ আনন্দে পেছন থেকে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করেন সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের  সিনিয়র  জেলার প্রশান্ত কুমার  বণিক ও জেলার  আরিফুর রহমান।

কারাবন্দি  শাহিন আহমদ  জানান, কারাগারে ঈদের দিনের খাবার খেয়ে আমরা যতটা খুশি তার চেয়ে বেশি খুশি  কারা কর্তৃপক্ষের আচরণে। আর বেশি খুশি একসাথে জামাত আদায় করতে পেরে। 

কারাগার থেকে  সদ্য  জামিনে আাসা তেরা মিয়া  ওরফে কালা জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন  কারাগারে  স্বস্তিতে আছে  বন্দিরা।  

সিনিয়র জেল সুপার  প্রশান্ত কুমার  বণিক জানান, কারাগার সম্পর্কে  মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে  সরকারের নির্দেশনায়  আই জি প্রিজন  ও ডিআইজি প্রিজন স্যারদের নির্দেশক্রমে  আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

কারা উপ মহাপরিদর্শক  ছগির মিয়া জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে  স্বাচ্ছন্দ্যে  ঈদ উপভোগ করেছে  বন্দিরা। জামাত আদায় করেছে  একসাথে  প্রায় পাঁচশতের অধিক বন্ধি। দেখা করেছে স্বজনদের সাথে। কুশল বিনিময় করেছে আমাদের সাথে। খাবার খেয়েছে  বাহারি। এসেছে নিজ বাড়ির রান্না করা খাবার।

ঈদের দিন  কর্মকর্তারা  একে অপরের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

 উল্লেখ্য, ঈদের দিন অনুসন্ধানে দেখা যায়  সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে নতুন কোন ভবন নেই।   কিন্তু  ভবন পুরাতন হলেও  কারা কর্তৃপক্ষ  তা খুব সুন্দরভাবে  সাজগোজ করে রেখেছেন। তবে নতুন  ভবন জরুরী। সব মিলিয়ে  আগের দুর্ভোগ  এখন আর নেই বন্দীদের। রয়েছে শুধু  আবাসিক গ্যাস সংযোগ  এর সংকট। তবে  উপ কারা মহাপরিদর্শক  ছগিরমিয়া জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই  সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে  ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে  গ্যাস সংযোগ  দিবে জানালাবাদ  গ্যাস কর্তৃপক্ষ। 



Post a Comment

Previous Post Next Post