অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে দেশ কে সমৃদ্ধির পথে নেওয়া সম্ভব - উপ-পরিচালক সুবর্ণা সরকার


এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া: সিলেটে অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫ এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং জেলার অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সাথে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্নায়ু বৈচিত্র্যকে বরণ করি, টেকসই সমাজ গড়ি’। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যেস্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে দেশ কে সমৃদ্ধির পথে নেওয়া সম্ভব।

দেশের উন্নয়নের ধারায় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে পারলে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে দেশ। সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত প্রয়াসে তাদের জীবনমান বদলে অবদান রাখতে হবে। সচেতনতা ও মানবিকতার মাধ্যমে যোগাযোগ ও সামাজিকতায় পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রতিবন্ধকতাকে লাঘব করতে হবে।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫ এর আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপলক্ষে কথাগুলো বলেন। 

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আব্দুর রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায়, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুজন বণিক, ব্র্যাকের জেলা কো-অর্ডিনেটর অনিক আহমেদ অপু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, সরকার অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সরকার প্রদত্ত সেবার মধ্যে অন্যতম। সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং সকল জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে অটিজম কর্নার চিকিৎসার জন্যে কাজ করছে।  

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, সরকার অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সরকার প্রদত্ত সেবার মধ্যে অন্যতম। সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং সকল জেলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে অটিজম কর্নার চিকিৎসার জন্যে কাজ করছে।  

সকল সচেতন নাগরিককে অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বার্থ সংরক্ষণে সোচ্চার হতে হবে। মাতৃগর্ভে কিংবা জন্মের পরপর শিশুর অটিজম হওয়ার সম্ভাবনাকে রোধ করা, অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতি সমব্যথী হয়ে তাদের বৈচিত্র্যকে বরণ করা, তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ এবং প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অটিজম আক্রান্ত শিশুসহ কয়েকজনকে হুইল চেয়ার ও সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়। 


এদিকে সিলেট জেলার উপপরিচালক ( উপসচিব), স্থানীয় সরকার,  সুবর্ণা সরকার  ২১  এপ্রিল  সোমবার দুপুরে   ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন। 

এসময় তিনি  ইউনিয়নের এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

 তিনি রহিমা ফিরোজ শিকদার উচ্চ বিদ্যালয়,  মাদারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চলমান এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সদরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

 জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা   জয়নাল আবেদীন,  এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী  এস এম   আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান,  উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী  অফিসের  সহকারী প্রকৌশলী  মোহাম্মদ  লায়েছ মিয়া তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  সত্যব্রত রায় সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।।

Post a Comment

Previous Post Next Post