কুলাউড়ায় একজনকে হত্যার পর বিদেশে পালানোর চেষ্টা, বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার


নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার পর এক তরুণ বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বুধবার গভীর রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আছকির মিয়া (৫৫)। তিনি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার তরুণের নাম ছালেক আহমদ (২৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে আছকির মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী মিছির আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আছকির মিয়া গতকাল দুপুরে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে কাজ করতে যান। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আছকিরের ছোট ভাই আছকন মিয়াকেও মারধর করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নেওয়ার পথে আছকির মারা যান। আর আহত আছকন মিয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

পরে রাতে আছকন বাদী হয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ওমানপ্রবাসী ছালেক আহমদসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে আছকিরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মিছির আলী ও ৩ নম্বর আসামি আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে বলেন, মামলার প্রধান আসামি ছালেক আহমদ বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওমানে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিমানবন্দরের অভিবাসন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে ঢাকার বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছালেককে কুলাউড়া থানায় নিয়ে আসা হবে। সেই সঙ্গে হত্যা মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

পরে রাতে আছকন বাদী হয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ওমানপ্রবাসী ছালেক আহমদসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে আছকিরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মিছির আলী ও ৩ নম্বর আসামি আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুত্র ঃ প্রথম আলো

Post a Comment

Previous Post Next Post