কারাগার থেকে ফাঁসির ২ কয়েদির পালানোর চেষ্টা!



অনলাইন ডেস্কঃ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হিমেল ভবনের ১২ নাম্বার কনডেম সেল থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই কয়েদি পালানোর চেষ্টা করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাকর্মীদের জালে আটকা পড়েছেন তারা।

সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কয়েদিরা হলেন, হত্যা মামলায় মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম (কয়েদি নং-৪৪২৮/এ) ও আবু তালেব (কয়েদি নং-৪৬৩৫)।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কনডেম সেলের জানালার লোহার রডে মরিচায় ধরায় রড ফাঁকা করে পানির পাইপ দিয়ে ৩ তলা থেকে রাত ৩টার দিকে দুজনই নিচে চলে আসার চেষ্টা করেন।

এ সময় দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী হারুন ও আবদুর রহমান তাদেরকে আটক করেন। পরে এ ঘটনাটি কারা কর্তৃপক্ষ গোপন রাখার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার জন্য দায়িত্বরত কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি ও ৩ জন কারারক্ষী ও ১ জন সহকারী প্রধান কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী, সোমবার রাত খাওয়া-দাওয়া শেষে সব কয়েদি নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। হাই সিকিউরিটি কারাগারের হিমেল ভবনের ১২ নাম্বার কনডেম সেল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম ও আবু তালেব লোহার গ্রিল পার হয়ে বাইরে চলে যাওয়ার সময় কারারক্ষীদের হাতে আটক হন।

কারা সূত্রে জানা যায়, ফাঁসির ওই দুই আসামি বের হয়ে চলে যাওয়ার জন্য বেশ সময় নেন। কিন্তু এতো নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও ৩ তলার কনডেম সেল থেকে নিচে নেমে আসার সময় কেউ দেখতে পায়নি। ফলে পালানোর চেষ্টার ক্ষেত্রে ৩ তলায় দায়িত্বরতদের কোনো ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কয়েদি জাহাঙ্গীর ও তালেবকে আটকের পর বর্তমানে সৈকত ভবনের নিচে রাখা হয়েছে। কারা বিধি অনুযায়ী তাদের মাথায় লাল টুপি পরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দায়িত্ব অবহেলার জন্য বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- কারা সহকারী প্রধান কারারক্ষী নজরুল ইসলাম, কারারক্ষী সৈকত ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন। দায়িত্ব অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটছে বলে বিভাগীয় মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল যুগান্তরকে বলেন, কারারক্ষীরা সতর্ক ছিল বলে তারা  পালাতে পারেননি, আটক হয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ কারাগারজুড়ে বাড়তি সর্তকতা জারি করেছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, সেলের লোহার গ্রিলগুলো বেশ পুরনো। মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কয়েদি সহজে হাত দিয়ে সেগুলো ফাঁক করে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। জরুরি ভিত্তিতে এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। গণপূর্ত বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। - যুগান্তর

Post a Comment

Previous Post Next Post