নিউজ ডেস্কঃ কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ১ নভেম্বর সোমবার রাতে নিহত ব্যবসায়ী নাজমুলের বড় ভাই শামছু মিয়া বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় ১৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কমলগঞ্জ থানার পুলিশ মাইক্রোবাস চালক আমির হোসেন হীরা (৪০) ও এজাহারভুক্ত আসামী জুয়েল মিয়া (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার গ্রেফতার দুই আসামীকে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
কমলগঞ্জ থানার পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় রাজনগর উপজেলা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী জুয়েল মিয়া (৪৫)কে গ্রেফতার করে। তার আগে সোমবার সকালে মৌলভীবাজার সদর থেকে হত্যাকান্ডে আসা ভাড়া করা মাইক্রোবাস জব্দ করে। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালক আমির হোসেন হীরাকে( ৪০) আটক করা হয়েছিল। রাতে এ মামলায় মাইক্রো চালক আমিরকেও আসামী করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মহাদেব বাচাড় ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যাকান্ডের মামলায় চালকসহ ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মারা যাবার আগে মুঠোফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিডিও লাইভে নাজমুল আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ তফজ্জুলের পরিকল্পনায় কুপানোর কথা বলেন। তবে এ বিষয়ের সাথে আরও কোন ঘটনা জড়িত কিনা তা পুলিশ গুরুত্বের সাতে তদন্ত করে দেখছে। তিনি আরও বলেন, বাকি আসামীগের গ্রেফতারে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ তৎপর রয়েছে। তারা আশাবাদি শীঘ্রই বাকি আসামদের গ্রেফতার করা যাবে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে চৈত্রঘাট এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে। মামলার আসামীতের গ্রেফতারে পুলিশী জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা দেড়টায় চৈত্রঘাট বাজারে মাইক্রোবাসে এসে বাসার সামনেই সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আহত করেছিল ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান। সিলেট উইম্যান্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় তিনি মারা যান।