নিউজ ডেস্কঃ সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজারে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে পজিটিভ এসেছে ১৩ জনের। তবে শনাক্তরা কোন উপজেলার তাৎক্ষণিকভাবে সেই তথ্য জানা যায়নি।
নতুন শনাক্ত ১৩ জন নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২২ জনে। এছাড়া জেলায় করোনাকে জয় করেছেন ২ হাজার ৩৫৩ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছেন ৩১ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন অফিসের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছিল, মৌলভীবাজারে বুধবার ১৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসময় জেলায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
জেলায় বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২১ জন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে ২ জন এবং বাড়িতে ২১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনা প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে জেলা প্রশাসন
করোনা প্রতিরোধ ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। যার মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা, স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রচারণা উল্লেখযোগ্য।
বৃহস্পতিবার জেলা কোভিড কমিটির এক সভায় জানানো হয়, ঈদের পর থেকে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে জেলা সদরসহ সব উপজেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি করা হবে। সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এ সময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া সামাজিক সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ছাত্র ও যুবকদের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচার-প্রচারণা আরও সমন্বয় জোরদার করা হবে।
দেশে একদিনে আরও ৪০ মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে আরও ৪০ জন মারা গেছেন। একই সময় ১৯ হাজার ৪৪৭ টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে নমুনা পরীক্ষা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় ১২ হাজার ৯৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর বাংলাদেশে শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এর প্রায় এক মাস অর্থাৎ ৪ এপ্রিল মৌলভীবাজারে করোনা রোগী পাওয়া যায়।