৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

 



নিউজ ডেস্কঃ টানা ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে সোমবার সকাল থেকে সিলেট-ঢাকা পথে চলাচল করতে শুরু করেছে ট্রেন।

আজ সোমবার (২৪ মে) সোমবার সকাল সোয়া ১১ টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে প্রথমদিনে যাত্রী সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম।

সিলেট রুটে ট্রেন চালুর তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শামীম আহমদ। তিনি বলেন, গতকাল হঠাৎ করে ঘোষণা আসায় আজ যাত্রী সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম ছিল। নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসনই পূরণ হয়নি।

এদিকে আজ বেলা সাড়ে ৩ টায় পারাবত এবং রাত সাড়ে ৯ টায় উদয়ন ট্রেন সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বেধে দেয়া সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক ছাড়া কাউকেই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান স্টেশন সিলেট এই ব্যবস্থাপক।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের আওতায় গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও আজ সোমবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে জানানো হয়। তবে সেক্ষেত্রে জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এদিকে গত ২৩ মে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, সোমবার ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ও নয় জোড়া এক্সপ্রেস-কমিউটার ট্রেন দিয়ে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হবে টিকিট। ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না, সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।

রোববার যাত্রীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে, আসনবিহীন কোনো টিকিট থাকবে না, টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত রেলভ্রমণ করবেন না এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post