ভারতে জেল খেটে দেশে ফিরলেন ছয় বাংলাদেশী নাগরিক



নিউজ ডেস্কঃ ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগের পর বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ৬ বাংলাদেশী নাগরিক।

৩ মার্চ বুধবার দূপুরে ভারতীয় বিএসএস ও আসাম সীমান্ত পুলিশ সাজাভোগকারী বাংলাদেশীদের বিজিবি ও শেওলা স্থলবন্দর পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে।

প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশীরা হলেন, খুলনা জেলার তারাকাদা উপজেলার আরাকান্দি গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ সাদ্দার আলী। তিনি আসাম তাজপুল জেলে ১৭ বছর বন্দী ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সিংঙ্গা গ্রামের বিরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে পিতু মন্ডল, তিনিও ৩ বছর ৫ মাস জেলে ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলার অলিপুর উপজেলার উত্তর নামাজের চর গ্রামের রুস্তম আলী ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম আসাম গোয়ালপাড়া জেলে ৩ বছর, কুড়িগ্রাঁম জেলার অলিপুর উপজেলার মিকোরর আলগা গ্রামের মৃত তারা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদ্দু মিয়া আসাম গোয়ালপাড়া জেলে ৩ বছর, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কোলিয়াপাড়া গ্রামের রথিকান্ত দাসের ছেলে সনজিৎ চন্দ্র দাস শীলচর আসাম জেলে ৩ বছর ৮ মাস ও বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার মদ্ধিয়া বরিশাল গ্রামের আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হাসান বিশ্বাস আসাম গোয়ালপাড়া জেলে ২ বছর ৫ মাস অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। সাজার মেয়াদ শেষেও নানা জটিলতা তারা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। অবশেষে আসামের গোয়াহাটির বাংলাদেশ হাই-কমিশনের সহকারী হাই-কমিশনার ড. তানভীর মনসুর রনির বিশেষ তৎপরতায় তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি বড়গ্রাম কোম্পানি কমান্ডার লোকমান হাকিম ভূইয়া, শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ আবুল কালাম, বিয়ানীবাজার থানার এসআই খবির উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মৌলভীবাজার জেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অমলেন্দু কুমার দাশ, ভারতের আসামের করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওয়াকিল, ইমিগ্রেশন অফিসার সমরেন্দ্র চক্রবর্তী, বিএসএফ সুতারকান্দি কোম্পানী কমান্ডার গুরুদিপ্ত সিং প্রমুখ।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী ও শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, বাংলাদেশে প্রবেশের পূর্বে আগতদের শেওলা আইসিপিতে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল টিম কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। করোনা উপসর্গ না পাওয়ায় এবং করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ থাকায় তাদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দিয়ে স্বজনদেন নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post