অনলাইন
ডেস্কঃ বাস থেকে ফেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান
পায়েল হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার
(১ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো.
কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে
আসামিদের হাজির করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেন।
মামলার
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান
আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে
ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জের ভাটেরচর
সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।
এ
ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল
হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের
মধ্যে জামাল হোসেন ও ফয়সাল হোসেন দুই ভাই। এ ঘটনায় ২৪ জুলাই পায়েলের মামা
গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আসামি করে
হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ২৫ জুলাই আটক করা বাসের সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও
চালক জামাল হোসেন (৩৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গজারিয়া
থানা পুলিশ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র
দেয়। এ মামলায় ২৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য
দেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে চারজন সাফাই সাক্ষী দেন।
মামলার বিচার
কাজ মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুরু হয়। পরে পরিবারের
আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর
এক প্রজ্ঞাপনে মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের
নির্দেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার
ট্রাইব্যুনালেই বিচারাধীন ছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর মামলাটি
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচার কাজ শুরু হয়।