ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি

 




নিউজ ডেস্কঃ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হলো।

এর আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনার পর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রিসভায় আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়াটি অনুমোদনের পর এ নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করায় এই অপরাধ কমে আসবে বলে তার বিশ্বাস।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই সাজা বাড়ানো উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে সংশোধনী আনা হয়েছে।’

নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন সংশোধনের মাধ্যমে দেশ ধর্ষণমুক্ত হবে বলে তার বিশ্বাস। আর এই আইনের খসড়া অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন আরেক ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসক বলেছে, জনগণের দাবির মুখে সরকার আইন সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জন-অসন্তোষ কমানোর কৌশল হিসেবে কাজ করেছে। কেবল সাজা বাড়িয়ে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্যতম সামাজিক অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠনটি।

আসক আরো বলছে, জনমতকে কাজে লাগিয়ে ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার আনার জন্য সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।



Post a Comment

Previous Post Next Post