কোভিড-১৯: বিশ্বের ১৭০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি


নিউজ ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১৪ হাজার ১৪৬ জন। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৪৩ জন। এক দিনে ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ৭৪৩ জনের।

এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে ১৭০ কোটি মানুষ সংক্রমণ রোধে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাসটি প্রথম দৃশ্যমান হওয়ার পর ৬৭ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায়। পরের ১১ দিনে আরও এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। তবে সর্বশেষ এক লাখ আক্রান্ত হয়েছে মাত্র চার দিনে।

আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব বলেছেন, ভাইরাসটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরও এর গতিপথ পাল্টে দেয়া সম্ভব। খবর বিবিসি, রয়টার্স, এনডিটিভি, আনন্দবাজার, ইন্ডিয়া টুডে, এপি, সিএনএন, গার্ডিয়ান, আল জাজিরা ও ওয়ার্ল্ডওমিটারস।

১৯৬টি দেশ ও অঞ্চল করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারস ডট ইনফোর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় ১৮ হাজার ৫৪৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ ১৪ হাজার ১৪৬। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে এক লাখ আট হাজার ২৯৩ রোগী। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় উপরের সারিতে থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে ইরানে ১৯৩৪, স্পেনে ২৮০০, ফ্রান্সে ১১০০, যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫৮, যুক্তরাজ্যে ৪২২ জন মারা গেছে।

মহামারীর গতি বাড়লেও রোধ সম্ভব: করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে সুরক্ষা সরঞ্জামাদির উৎপাদন বাড়াতে জি-টোয়েন্টিভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস হুশিয়ার করে বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট মহামারী আরও বেগবান হচ্ছে।

এতে এখন পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে এ সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরের ১১ দিনে আরও এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হন, আর পরের এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র চার দিন।

তবে তিনি বলেন, এখনও এর গতিপথ পাল্টে দেয়া সম্ভব। দেশগুলোকে ভাইরাসটি শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টেড্রস বলেন, পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকার কারণেই এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেন, নিরাপদে থাকলেই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কাজটা ভালোভাবে করতে পারবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post