মৌলভীবাজারে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১


বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বুলু (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ সময় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আথানগিরির বুরুতলা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের ছালিক বেগের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতি শেষে বেরিয়ে গেলে কেউ ৯৯৯–এ ফোন করে ডাকাতির বিষয়টি জানান। এরপর সদর মডেল থানার পুলিশের বিভিন্ন টহল দল ডাকাতদের আটক করতে অভিযানে নামে। ডাকাতেরা তখন হাওরের দিকে পালিয়ে যায়।

পুলিশ বিভিন্ন সড়কে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে কাগাবলা ইউনিয়নের বুরুতলা স্কুলের কাছে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে থামার জন্য পুলিশ সংকেত দেয়। এ সময় পুলিশের সংকেত অমান্য করলে রাস্তায় বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। তখন ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগানের গুলি ছোড়ে। সে সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত বুলুর বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর। এ সময় সিলেটের বিয়ানীবাজারের লাল মিয়া (৪৫) ও আথানগিরির আফজল মিয়া (২২) নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, গ্রিল কাটার একটি যন্ত্র ও তিনটি শাবল উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনার সময় সদর মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন, এসআই সুলতান আহমদ, নুরুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম, এএসআই কোরবান আলী, কনস্টেবল সুরঞ্জিত, নিরুপম, ফুয়াদ, গোলাম হাবিব ও নিলয় আহত হয়েছেন। তারা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post