আদালত প্রাঙ্গণে আসামির মাথায় আইএসের টুপি, তদন্তে কমিটি


অনলাইন ডেস্কঃ বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে দুজনের মাথায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতীক সংবলিত কালো টুপির বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফা কামাল পাশা।

আইজি প্রিজন্স বলেন, আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি পরা আমরা মিডিয়াতে দেখেছি। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের আগে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যানের মাথায় দেখা গেছে আইএসের প্রতীক সংবলিত কালো টুপি। এরপর আসামিদের প্রিজনভ্যানে তোলার পর আরও এক জঙ্গিকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়। ওই জঙ্গির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী। তাদের মাথায় কীভাবে আইএস টুপি এলো- এ নিয়ে প্রশ্ন উঠায় বিষয়টি তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফা কামাল পাশা বলেন, এই টুপি কারাগার থেকে সংগ্রহ করেছে কিনা- তা খতিয়ে দেখতে এডিশনাল আইজি প্রিজনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কারও অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার সতর্কতা হিসেবে সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান আইজি প্রিজন্স।

এদিকে জঙ্গির মাথায় আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি কীভাবে এলো- দুপুরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। এটি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আমি এখনই তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়, তাদের সঙ্গে কি আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে।’

তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারীও সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post