চীন আতঙ্কে ডোকালামে সড়ক নির্মাণ ভারতের


অনলাইন ডেস্কঃ ডোকালামে চীনের চোখ রাঙানি রুখতে একেবারে সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে ফেলল ভারত।

নতুন এ পথে ভারত-ভুটান সীমান্তের ভিম বেজ থেকে ডোকালা বেজক্যাম্পে পৌঁছতে ভারতীয় সেনার সময় লাগবে ৪০ মিনিট। যা আগে লাগত প্রায় ৭ ঘণ্টা। এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় আরও একটি সড়ক তৈরি করছে ভারত।

২০২১ সালের মার্চ নাগাদ সে রাস্তার কাজ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার দেশটির সীমান্ত সড়ক নির্মাণবিষয়ক দফতর বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) এক কর্মকর্তা এ খবর নিশ্চিত করেন। খবর এনডিটিভির।

বছর দুয়েক আগে ডোকালামে চীনের রাস্তা তৈরি আটকাতে কম বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তখন। প্রায় ৭৩ দিন পর দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার শেষে সংকট দূর হয়।

কিন্তু এবার ভারত আক্ষরিক অর্থেই এমন রাস্তা তৈরি করছে, যাতে চীনের চোখ রাঙানি আটকানো যাবে দ্রুত। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরি করে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এ রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয় ২০১৫ সালে। ওই বছরই রাস্তা তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।

বিআরও জানিয়েছে, শত্রুপক্ষের যে কোনো অভিসন্ধিমূলক কাজকর্ম আটকাতে নতুন এ পিচের রাস্তা তৈরি হয়েছে। যে কোনো আবহাওয়ায় এ রাস্তায় যাতায়াত করা যাবে। ডোকালা বেজে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো প্রস্তুতি নেয়া হোক, বা শত্রুপক্ষের আগ্রাসন আটকানো- সবই সামলানো যাবে খুব কম সময়ে।

এই ডোকালামেই নির্মাণাধীন দ্বিতীয় সড়কটি ৩০ কিলোমিটারের। এই রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে ফ্ল্যাগ হিল থেকে ডোকালা বেজ পর্যন্ত। বিআরও জানিয়েছে, যে কোনো আবহাওয়ায় যাতায়াতের এই রাস্তাটির ১০ কিলোমিটার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

২০২০ সালের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সমতল থেকে সর্বনিু ৩৬০১ মিটার এবং সর্বোচ্চ ৪২০০ মিটার উচ্চতায় তৈরি হবে এ রাস্তা। আর এ পথেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি যুক্ত হবে। যদিও সেই ঘাঁটিগুলোর নাম উল্লেখ করেনি বিআরও।

চীনের দাবি করে প্রায় ৮৯ বর্গকিলোমিটারের এই ডোকালাম পোস্ট তাদের চুম্বী ভ্যালির অংশ। অন্যদিকে ভুটানের দাবি ডোকালাম ভুটানেরই অখণ্ড অংশ। ভারতও মনে করে এটা ভুটানেরই অংশ।

২০১৭ সালে এই ডোকালামেই রাস্তা তৈরি করতে শুরু করে চীন। ভারতীয় সেনা তাতে বাধা দেয়। বেইজিং এবং দিল্লি দু’পক্ষই ডোকালামে সেনা মোতায়েন করে। ফলে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

পরের বছর ২৮ আগস্ট দুই দেশই ঘোষণা করে, ডোকালাম থেকে সেনা তুলে নেয়া হয়েছে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post