অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘আদ্রা’ এবং দেশীয় সংস্থা ‘আল
মারকাজুল ইসলামী’কে সারাদেশে নিষিদ্ধ করেছে এনজিও ব্যুরো। গত ২৫ আগস্ট
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশে আর্থিক সহায়তা এবং
প্রত্যাবাসনবিরোধী প্রচারণার দায়ে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এনজিও দুইটির সঙ্গে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ রাখার জন্যও বলা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এনজিও ব্যুরোর এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। এতে রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রত্যাবাসনবিরোধী উস্কানির ইন্ধন এবং সমাবেশ আয়োজনের গোপন সহায়তার জন্য কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার অপতৎপরতার বিষয়টি উঠে আসে। পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদন এনজিও ব্যুরোর সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়।
দুইটি এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, ‘‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও ‘আদ্রা’ এবং দেশীয় সংস্থা ‘আল-মারকাজুল ইসলামী’র বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আর্থিক সহায়তা ও মহাসমাবেশে টিশার্ট সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শুধু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নয়, সারাদেশেই তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই দুইটি এনজিও’র সব ধরনের ব্যাংক লেনদেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।’’
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে উখিয়ার কুতুপালং পালংয়ের মধুরছড়া মাঠে জনসমাবেশ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এসময় তাদের পরনে সাদা টিশার্ট দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই সমাবেশে টিশার্ট সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে উল্লেখিত সংস্থা দুইটির বিরুদ্ধে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা নতুন-পুরনো ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি এনজিও সেখানে রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে।
গত ২২ অগাস্ট রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর দ্বিতীয় দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, দেশি-বিদেশি কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরতে নিরুৎসাহিত করছে।
এর তিন দিনের মাথায় রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্বিতীয় বছর পূর্তির দিনে উখিয়ার কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পের মাঠে হাজার হাজার রোহিঙ্গার সমাবেশ শরণার্থী ব্যবস্থাপনা ও এনজিও কার্যক্রম নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের জন্ম দেয়।
রোহিঙ্গাদের ওই সমাবেশে তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যায়। কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার এলাকায় একটি কামারের দোকান থেকে লোহার তৈরি ধারালো প্রায় সাড়ে ছয়শ’ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় ‘মুক্তি কক্সবজার’ নামের এনজিওর ছয়টি প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত করে সরকার। এরপর ‘নানা অপকর্মে’ জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় অর্ধশত এনজিওকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার কাজ থেকে প্রত্যাহারের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
একইসঙ্গে এনজিও দুইটির সঙ্গে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ রাখার জন্যও বলা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এনজিও ব্যুরোর এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। এতে রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রত্যাবাসনবিরোধী উস্কানির ইন্ধন এবং সমাবেশ আয়োজনের গোপন সহায়তার জন্য কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার অপতৎপরতার বিষয়টি উঠে আসে। পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদন এনজিও ব্যুরোর সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়।
দুইটি এনজিওর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, ‘‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও ‘আদ্রা’ এবং দেশীয় সংস্থা ‘আল-মারকাজুল ইসলামী’র বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আর্থিক সহায়তা ও মহাসমাবেশে টিশার্ট সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শুধু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নয়, সারাদেশেই তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই দুইটি এনজিও’র সব ধরনের ব্যাংক লেনদেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।’’
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে উখিয়ার কুতুপালং পালংয়ের মধুরছড়া মাঠে জনসমাবেশ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এসময় তাদের পরনে সাদা টিশার্ট দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই সমাবেশে টিশার্ট সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে উল্লেখিত সংস্থা দুইটির বিরুদ্ধে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা নতুন-পুরনো ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি এনজিও সেখানে রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে।
গত ২২ অগাস্ট রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর দ্বিতীয় দফা চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, দেশি-বিদেশি কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরতে নিরুৎসাহিত করছে।
এর তিন দিনের মাথায় রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্বিতীয় বছর পূর্তির দিনে উখিয়ার কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পের মাঠে হাজার হাজার রোহিঙ্গার সমাবেশ শরণার্থী ব্যবস্থাপনা ও এনজিও কার্যক্রম নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের জন্ম দেয়।
রোহিঙ্গাদের ওই সমাবেশে তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যায়। কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার এলাকায় একটি কামারের দোকান থেকে লোহার তৈরি ধারালো প্রায় সাড়ে ছয়শ’ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় ‘মুক্তি কক্সবজার’ নামের এনজিওর ছয়টি প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত করে সরকার। এরপর ‘নানা অপকর্মে’ জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় অর্ধশত এনজিওকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার কাজ থেকে প্রত্যাহারের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।