অনলাইন ডেস্ক: মেয়েটি নিজের পরিচয় কিংবা বাড়ির ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিল না। কেবল খুরজা ও জিতন শব্দ দুটিই জানা ছিল বারো বছর বয়সী শিশুটির।
এ শব্দ দুটো ধরে খোঁজ নেয়া শুরু করে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পুলিশ। শেষপর্যন্ত গুগল মানচিত্রে খুরজা গ্রামের সন্ধান পেয়ে তাকে পরিবারের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
চার মাস আগে চিকিৎসা করতে দিল্লিতে গিয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটি। তখন হারিয়ে যায় সে।
এরপর হোলির দিন রাতে দিল্লির কীর্তিনগর থেকে রিকশায় ওঠে কিশোরীটি। কোথায় যাবে ঠিক মতো বলতে না পারায় চালক তাকে সোজা পুলিশের কাছে নিয়ে যান।
সে পুলিশকে জানায়, তার গ্রামের নাম খুরজা আর বাবার নাম জিতন। পরিচয় বলতে এতটুকুই জানা আছে তার।
তবে সে আরও জানায়, পিন্টু নামে তার এক চাচার সঙ্গে ট্রেনে করে দিল্লিতে এসেছিল। ট্রেনের ওয়াশরুমে তার পোশাক খুলে নেয় পিন্টু। তার পর তাকে ফেলে চলে যায়।
পুলিশ প্রথমে আশপাশের এলাকায় খুরজা গ্রামের খোঁজ করে। কিন্তু ওই নামে কোনও গ্রাম দিল্লিতে পাওয়া যায়নি।
খুরজার কাছাকাছি নাম হওয়ায় খাজুরি খাস ও খুরেজি এলাকাতেও খোঁজ চালায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান হয়নি।
পুলিশ খুরজা গ্রামের খোঁজ পায় উত্তরপ্রদেশে। মেয়েটিকে সেখানেও নিয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি পুলিশের একটি দল। কিন্তু ওই গ্রামে জিতন বলে কেউ থাকে না বলে জানিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।
মেয়েটিকেও কোনও দিন ওই গ্রামে দেখেননি তারা এমনটাও জানিয়ে দেন। ফলে আরও সমস্যায় পড়েন তদন্তকারীরা। কিন্তু আশা ছাড়েননি।
কিশোরীর কাছে ফের তার গ্রাম এবং আশপাশের কোনও একটা এলাকার নাম জানতে চান তদন্তকারীরা।
তখন সে পুলিশকে জানায়, সোনবারসায় তার মামাবাড়ি। সাকাপার নামে একটি গ্রামও আছে পাশে। এর পরই পুলিশ গুগল ম্যাপের সাহায্য নেয় সোনবারসার অবস্থান জানতে।
ম্যাপ থেকে পুলিশ জানতে পারে সোনবারসা, সাকাপার এই দুটো গ্রামই উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলায়। সেখানে গিয়ে খুরজা গ্রামেরও খোঁজ পান তদন্তকারীরা।
তার পরই কিশোরীটির পরিবারের খোঁজ পেয়ে তাকে তাদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
এ শব্দ দুটো ধরে খোঁজ নেয়া শুরু করে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পুলিশ। শেষপর্যন্ত গুগল মানচিত্রে খুরজা গ্রামের সন্ধান পেয়ে তাকে পরিবারের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
চার মাস আগে চিকিৎসা করতে দিল্লিতে গিয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটি। তখন হারিয়ে যায় সে।
এরপর হোলির দিন রাতে দিল্লির কীর্তিনগর থেকে রিকশায় ওঠে কিশোরীটি। কোথায় যাবে ঠিক মতো বলতে না পারায় চালক তাকে সোজা পুলিশের কাছে নিয়ে যান।
সে পুলিশকে জানায়, তার গ্রামের নাম খুরজা আর বাবার নাম জিতন। পরিচয় বলতে এতটুকুই জানা আছে তার।
তবে সে আরও জানায়, পিন্টু নামে তার এক চাচার সঙ্গে ট্রেনে করে দিল্লিতে এসেছিল। ট্রেনের ওয়াশরুমে তার পোশাক খুলে নেয় পিন্টু। তার পর তাকে ফেলে চলে যায়।
পুলিশ প্রথমে আশপাশের এলাকায় খুরজা গ্রামের খোঁজ করে। কিন্তু ওই নামে কোনও গ্রাম দিল্লিতে পাওয়া যায়নি।
খুরজার কাছাকাছি নাম হওয়ায় খাজুরি খাস ও খুরেজি এলাকাতেও খোঁজ চালায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান হয়নি।
পুলিশ খুরজা গ্রামের খোঁজ পায় উত্তরপ্রদেশে। মেয়েটিকে সেখানেও নিয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি পুলিশের একটি দল। কিন্তু ওই গ্রামে জিতন বলে কেউ থাকে না বলে জানিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।
মেয়েটিকেও কোনও দিন ওই গ্রামে দেখেননি তারা এমনটাও জানিয়ে দেন। ফলে আরও সমস্যায় পড়েন তদন্তকারীরা। কিন্তু আশা ছাড়েননি।
কিশোরীর কাছে ফের তার গ্রাম এবং আশপাশের কোনও একটা এলাকার নাম জানতে চান তদন্তকারীরা।
তখন সে পুলিশকে জানায়, সোনবারসায় তার মামাবাড়ি। সাকাপার নামে একটি গ্রামও আছে পাশে। এর পরই পুলিশ গুগল ম্যাপের সাহায্য নেয় সোনবারসার অবস্থান জানতে।
ম্যাপ থেকে পুলিশ জানতে পারে সোনবারসা, সাকাপার এই দুটো গ্রামই উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলায়। সেখানে গিয়ে খুরজা গ্রামেরও খোঁজ পান তদন্তকারীরা।
তার পরই কিশোরীটির পরিবারের খোঁজ পেয়ে তাকে তাদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।