পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর ফের ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে


অনলাইন ডেস্ক: পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর ফের ইতালির প্রধানমন্ত্রী হলেন গুইসেপ কন্তে।

মধ্য বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডি) সাধারণ সম্পাদক জিঙ্গারেতি ও ফাইস্টার মুভমেন্ট সাধারণ সম্পাদক লুইজি দি মাইও দল জোট বেঁধে রাষ্ট্রপ্রতি সেরজো মাতারেল্লার কাছে কন্তেকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে প্রস্তাব দিলে রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কুইরিনাল ভবনে সাক্ষাৎ হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও কোন্তেকে দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।

দুই সপ্তাহের মধ্যে একই ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় দেশটিতে বেশ আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

দেশটির নাগরিকরা ভোট ছাড়া এভাবে সরকার নির্বাচনে সন্তুষ্ট না হলেও তারা মনে করেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত টিকে থাকাই হবে নতুন সরকার ও নতুন মন্ত্রী সভার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

চলতি মাসে সরকার সংকটের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে ইতালির রাজনীতিতে চলছিল কঠিন সমীকরণ।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হল নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কন্তে পদত্যাগের পর ইতালিতে চরম সরকার সংকট দেখা দেয়।

দেশটির অর্থনীতির স্বার্থে রাষ্ট্রপতি সেরজো মাতারেল্লা নতুন আরকটি সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

যতদ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে জোট বেঁধে উভয়ের সম্মতিতে নতুন সরকার নির্বাচন করতে জোর তাগিদ দেন।

অন্যথায় রাষ্ট্রপ্রতি নতুন আরেকটি নির্বাচনের আহবান করার কথা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে।

এরপরই নানা শর্ত সাপেক্ষে মধ্য ডানপন্থী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ফাইষ্টার মুভমেন্ট জোট বেঁধে কোন্টিকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করেন।

অন্যদিকে সংসদে বিরোধী দল হিসেবে কট্টর অভিবাসী বিরোধী লেগা নর্দ দলের মাত্তেও সালভিনি (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) থাকবেন।

সালভিনি এক ভিডিও বার্তায় সবার উদ্দেশে বলেন,এভাবে সরকার গঠনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার চুরি করা হয়েছে। ২০১৮ নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি।

এই সরকার ব্রাসেলস ও জার্মানির আশীর্বাদ তুষ্ট সরকার হিসেবে ইঙ্গিত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে নির্বাচনে কোন দল একক ভাবে সরকার গঠন করার মত ভোট পায়নি। ফলে কট্টর ডানপন্থী লেগা নর্দ সাধারণ সম্পাদক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনি ও ফাইষ্টার মুভমেন্ট লুইজি দি মাইও জোট বেঁধে সরকার গঠন করে।

এক বছরের মধ্যে সরকার পদত্যাগ করায় চরম অস্থিরতা দেখা দেয় দেশটিতে। পাশাপাশি লেগা নর্দের সঙ্গে ফাইভস্টার মুভমেন্টের কথায় বনিবনা না হওয়ায় তাদের জোট ভেঙে যায়।

এদিকে ফাইভস্টার মুভমেন্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডি)'র সঙ্গে জোট বেঁধে আগের প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠনের জন্য আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post