মৌলভীবাজার পৌরসভার ১৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা


স্টাফ রিপোর্টার: নতুন কোনো করারোপ ছাড়াই মৌলভীবাজার পৌরসভার ১৪২ কোটি ২৮ লক্ষ ৪০ হাজার ২৮০ টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

৩০ জুন রোববার দুপুরে পৌর মিলনায়তনে সাংবাদিক ও পৌর নাগরিকদের উপস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান।

পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রনধীর কুমার রায়ের সঞ্চালনায় বাজেটের উপর মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হামিদ মাহবুব, সহ-সভাপতি সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহি কুটি, দৈনিক বাংলার দিন পত্রিকার সম্পাদক বকসী ইকবাল আহমদ, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, রেডিও পল্লীকন্ঠের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মেহেদী হাসান, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি আহমেদ ফারুক মিল্লাদ, ইটিভির জেলা প্রতিনিধি বিকুল চক্রবর্তী, জয়যাত্রা টিভির জেলা প্রতিনিধি এ এস কাঁকন সহ অন্যান্যরা।

বাজেট ঘোষনাকালে মেয়র বলেন, পৌর নাগরিকদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা, মান সম্পন্ন সেবা প্রদানের দিকে লক্ষ্য রেখে এ বাজেট করা হয়েছে।

নতুন করারোপ ছাড়াই মৌলভীবাজার পৌরসভার ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ১৪২ কোটি ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার ২৭৯ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

বাজেটে মৌলভীবাজার শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এর উল্লেখযোগ্য হল বেরি লেইক, কুদালিছড়া, কয়েকটি পুকুর ও দিঘির সুন্দর্যবর্ধন, নারী ও পুরষদের বিনোদনের জন্য পৃথক বসা ও পায়ে হাটার জন্য ফুটপাত, ফুলবাগান ও ড্রেন সংস্কার ও নির্মাণসহ নানা দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা শেষে তার বক্তব্য প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীসহ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলরদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রবাসীসহ যে সকল পৌর নাগরীকরা নানা ভাবে পৌরসভার উন্নয়নে সহযোগীতা করছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন পৌর নাগরিকদের সহায়তা ছাড়া এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই নাগরিকদের নিয়মত পৌর কর পরিশোধসহ অনুষাঙ্গিক বিষয়ে সহযোগীতা প্রয়োজন। পৌর শহরের ড্রেনেজ ও কুদালি ছড়া পরিষ্কার পরিচন্ন রাখার বিষিয়ে তিনি নাগরিকদের সহযোগিতা চান এবং সকলের সচেতনতা প্রত্যাশা করেন। তা  না হলে শুধু পৌরসভার পক্ষে এই শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব নয়।

কুদালি ছড়া প্রসঙ্গে বক্তব্য কালে মেয়র আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন কুদালি ছড়া খনন সংস্কার ও রক্ষা করতে গিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু কষ্ঠ দায়ক হল শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ছড়া ও প্রাণ কুদালি ছড়া কিছু নাগরিকের অবহেলার কারনে তাদের ফেলে দেওয়া ময়লার কারনে কুদালি ছড়ার বিভিন্ন জায়গা ভরাট হচ্ছে।

তিনি শহরের একমাত্র পানি নিষ্কাসনের খাল কুদালীছড়া ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌর নাগরিকদের আহবান করেন। তিনি শহরকে পরিচন্ন রাখতে ইতো মধ্য কয়েকটি উদ্যেগ নিয়েছেন বলে জানান।

বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মনবীর রায় মঞ্জু, ফয়ছল আহমদ, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, আনিছুজ্জামান বায়েছ, নাহিদ আহমদ, শ্যামলী দাশ পুরকায়েস্ত, পৌরসভার সচিব মোঃ ইসহাক ভুইয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশল আবুল হোসেন খান সহ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ।

বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের উৎস ধরা হয়েছে, ইউজিআইপি-৩, রাজস্ব খাত, পানি সরবরাহ, ক্ষুদ্র ঋণ, এডিপি, নগর অবকাঠামো প্রকল্প, বিএমডিএফ প্রকল্প ইত্যাদি।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় ধরা হয়েছে মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মচারীর বেতন ভাতা, জাতীয় দিবস উদযাপন, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক, ঋণ পরিশোধ, পানির শাখার ব্যয়, অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউজিআইপি৩, বিএমডিএফ প্রকল্পখাত সহ বিভিন্ন খাত।

Post a Comment

Previous Post Next Post