জি-২০ সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে বাণিজ্য


অনলাইন ডেস্কঃ জাপানের ওসাকায় গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বড় ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ ইস্যু। সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। ট্রাম্প বাণিজ্য নিয়ে শি’র সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার আশার কথা জানিয়েছেন। আর জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল আশা করেছেন, দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধান হবে। খবর সিএনএন ও আল জাজিরার

গুরুত্ব বাণিজ্য যুদ্ধে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গঠনমূলক আলোচনার আশা করলেও দুই দেশ কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও ভাল কিছু হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের কড়া বিরোধের মধ্যেও ব্যবসায়ীরা ট্রাম্প-শির মধ্যকার বৈঠক থেকে ইতিবাচক কিছু আশা করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব বাণিজ্যকে কঠিন করে তুলবে এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধীর করে দিতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং জাপানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে ইইউ।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাশিয়া, চীন ও ভারত!

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট নীতি’ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে মিলিত হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন দেশই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সংরক্ষণবাদের কড়া সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন জোর দিয়েছেন যাতে তিন দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে, কোনো দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত না করা এবং কোনো দেশের অভ্যন্তরণী স্বার্থে হস্তক্ষেপ না করে। পুতিন বলেন, সংরক্ষণবাদ, একক আধিপত্যবাদ এবং অবৈধ অবরোধ আরোপের বিরোধিতা করে তিন দেশ। চীনের প্রেসিডেন্টও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির কড়া সমালোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দায়িত্বহীন কার্যক্রম থেকে রাশিয়াকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে জলবায়ু ইস্যুতে সম্মেলনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোক। কিন্তু ইইউ ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে। উল্লেখ্য, জি-২০ জোটে আছে বিশ্বের ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বের ৮০ ভাগ অর্থনীতি পরিচালিত হয় এই দেশগুলোতে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস করে এসব দেশে।

Post a Comment

Previous Post Next Post