সংসদে যোগ দিয়ে খালেদার মুক্তি দাবি বিএনপি সাংসদের


নিউজ ডেস্কঃ সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন দলের সংসদ সদস্য হারুন অর  রশীদ। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ দাবির কথা জানান।

তিনি বলেন, সংসদ নেতাকে (শেখ হাসিনা) বলব, অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আমরা আশা করি আদালত যদি স্বাধীন ভাবে চলতে পারে, তাহলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কালই জামিন পাবেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের  নেত্রী দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে কারাগারে বন্দি। উনি হুইল চেয়ারে চলাফেরা করছেন। উনার আসলে জেলে থাকার কথা নয়। অন্তত পক্ষে উনার জামিন হওয়া উচিত। উচ্চ আদালতকে যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন, ওখানে নিয়োজিত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সরকারি কর্মকর্তারা যারা রয়েছেন, তারা যদি সত্যিকার অর্থে বাধা না দেন, আমি বিশ্বাস করি উনি কালকেই জামিন পাবেন। আমরা প্রত্যাশা করব উনি কালকেই জামিন পাবেন।

‘মাননীয় সংসদ নেতা আপনিই পারেন। আপনি যে পারবেন সেটি প্রমাণ করেছেন। এজন্য বলব এখন বিষয়গুলোর জন্য পদক্ষেপ নিন। আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দেন। এটিও বলবেন যে, হ্যাঁ তাদের সংসদ সদস্যরা সংসদে প্রবেশ করেছেন, আমিও মুক্তি দিয়েছি। তাহলে দেশের মানুষের কাছে বলতে পারব যে আমরা সংসদে গেছি, তার ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করেছেন।’

তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যে বিএনপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপি এভাবে ভাবলে হবে না। এতে দেশে সত্যিকার অর্থে শান্তি ফিরে আসবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে। কিন্তু দেশে ভয়াবহ লুটপাটও হচ্ছে।  যে লুটপাটগুলো হচ্ছে সেগুলোর বিরুদ্ধে যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। আমরা কয়েকজন সদস্য। আমরা সংসদে এসেছি সত্যিকারের কথাগুলো বলার জন্য। দেশের সংগঠিত ঘটনাগুলো বলব। সঠিক তথ্য বলার চেষ্টা করব। আমাদের সুযোগ দিলে আপনারাই উপকৃত হবেন। সংসদকে যদি কার্যকর করতে চান, তাহলে সংখ্যালঘুদের সুযোগ দেবেন। এখানে তোষামদি করার জন্য নয়, সত্যিকার কথাগুলো বলতে এসেছি।

হারুন বলেন, দেশকে অবশ্যই মাদকমুক্ত করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করতে হবে। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে নিঃসন্দেহে সারাদেশে বির্তক রয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। যেভাবেই বলি না কেন ৩০ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নাই। আমরা পাঁচজন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করে এখানে এসেছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে আরও দুইজন । সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ৯০ দিন শেষ হওয়ার শেষ দিনে আজকে সংসদে প্রবেশ করার জন্য দলকে সম্মত করাতে আমাদের অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে।

সেসময় ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করায় সংসদ নেতাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post