হাকালুকিতে বিষটোপে মারা গেল দেড়শ হাঁস


নিউজ ডেস্কঃ হাকালুকি হাওরে অতিথি পাখি শিকারী চক্রের বিষটোপে এক খামারীর ১৫০টি পাতিহাঁস মারা গেছে। গত বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজারের বড়লেখা অংশের দুধাই বিলের পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় খামারী সমছুল ইসলাম পাখি শিকারী চক্রের ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা গ্রামের বাসিন্দা সমছুল ইসলাম একটি এনজিও সংস্থ্যা থেকে ঋণ নিয়ে ৫০০ টি হাঁসের খামার করেন। নিজের ছেলে ও একজন কর্মচারী নিয়ে তিনি এই হাঁসের লালন পালন করতেন তিনি। প্রতিদিন হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন বিলে হাঁসগুলো বিচরণ করে। হাঁসের দেওয়া ডিম বিক্রির আয়েই তাঁর পরিবারের নিত্যদিনের ব্যয়, ঋণের কিস্তি ও কর্মচারীর বেতন হয়। বুধবার বিকেলে দুধাই বিলের পাড়ে হঠাৎ দেখতে পান হাঁসগুলো দিকবিদিক ছোটাছুটি করছে। এর কিছুক্ষণের মাঝে দেখতে পান হাঁসগুলো নিস্তেজ হয়ে মারা যাচ্ছে। ছেলে ও কর্মচারী মিলে মারা যাওয়া হাসগুলো বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে এনে গুনে দেখতে পান দেড়শ হাঁস মারা পড়েছে।

খামারী সমছুল ইসলাম বলেন, ‘তালিমপুর ইউনিয়নের খুটাউরা গ্রামের দুদই মিয়া, মনা মিয়া, আনোয়ার হোসেন, ওয়াতির আলী, ছালিক আহমদ, আছাদ উদ্দিনসহ বিশাল একটি বড় সিন্ডিকেট প্রতিদিন হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন বিলে ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে অতিথি পাখি নিধন করছে। অন্তত এক মাস আগে এসব শিকারীদের আমি বাঁধা নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার হাঁসের বিচরণ স্থলে বিষ মিশানো ধান ছিটিয়ে রাখে। এই ধান খেয়ে ১৫০টি হাঁস মারা গেছে। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঋণ করে খামার করেছি। ঋণের টাকা পরিশোধ করাই এখন কষ্ট হবে। এদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এলাকার মুরব্বিরা আপোষের জন্য হাতে নিয়েছেন। ক্ষতিপূরণ না পেলে মামলা করব।’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বলেন, ‘হাঁসের মালিক অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। এরমাঝে স্থানীয় এলাকার মুরব্বিরা হাঁসের মালিককে ক্ষতিপূরণ দেবার আশ্বাস দেন। তাই সমছুল ইসলাম অভিযোগ দেননি।’

Post a Comment

Previous Post Next Post