শপথ নিচ্ছেন সুলতান মনসুর-মোকাব্বির


নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে শপথের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেট-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান ও মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

শুরু থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের শপথ না নেয়ার ঘোষণার পর থেকে এ দুই প্রার্থী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন নাকি শপথ নেবেন এ নিয়ে ছিল আগ্রহ। বিজয়ী এ দুই প্রার্থী শপথ নিচ্ছেন এমনটি শুরু থেকেই আলোচনায় থাকলেও এবার তা প্রকাশ্য। মনসুর-মোকাব্বিরের শপথ নেয়ার বিষয়টি ইতিবাচক বলে জানিয়েছে প্রার্থীরা নিজেই।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, আমরা শপথ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।

তিনি আরও বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন যাতে আমি তাদের পক্ষে সংসদে কথা বলতে পারি। তাই আমি জনগণের পক্ষে কথা বলতে শপথের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবো। তারা নিশ্চয় চান না তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি সংসদ থেকে দূরে থাকি।"

সিলেট-২ আসন থেকে বিজয়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, "গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। তিনি আসলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।"

মোকাব্বির খান আরও বলেন, "আমরা তো চাই সংসদে গিয়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাই। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন কামাল হোসেন সাহেব। তবে শপথের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হবে বলে জানান তিনি।"

এদিকে গত ১৫ জানুয়ারি সিলেট সফরে আসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সফরকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মহাসচিব হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা।

কিন্তু সিলেটে এসে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মাজার জিয়ারতসহ নির্বাচনী ক্ষতিগ্রস্ত আসন পরিদর্শন করলেও তাদের সঙ্গে ছিলেন না মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান। সে সময় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর অসুস্থতার অজুহাত দেখালেও মোকাব্বির খান বলেছিলেন যোগাযোগ না হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় নেতাদের সিলেটে আগমনের বিষয়টি তার জানা ছিলো না।

তবে যে কারণেই ওইদিন তারা ওই দিন অনুপস্থিত থাকেন না কেন সেদিনই বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথের বিষয়টি নিয়ে আলোচিত হয় বলে জানা যায়। সেদিন বিএনপির নেতাকর্মীরা মনসুর ও মোকাব্বিরের শপথ নিতে পারেন এমন ধারণা করেছিলেন বলে জানিয়েছিল বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি দলের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন শপথের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শপথ না নেওয়ার কথাও জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post