স্টাফ রিপোর্টারঃ
খেলাধুলায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সাফল্য এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খেলাধুলা
নিয়ে প্রতিযোগিতা থেমে নেই। ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি প্রবল ঝুক থাকা সত্তেও
খেলাধুলার ওপর কোনো সংগ্রহশালা নেই। কুলাউড়া উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম স্পোর্টস অ্যান্ড আর্টস
মিউজিয়াম। সাবেক অ্যাথলেট সাঈদ উর রবের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে এ জাদুঘর।
উপজেলার গাজীপুর চা বাগানের পাশে ঘাগটিয়া গ্রামে মনোরম পবিবেশের কাছে তিন একরেরও বেশি জমি কিনে
তাতে মিউজিয়াম নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন সাঈদ উর রব। ২০১৫ সালে
নির্মাণকাজ শুরু হয়।
মিউজিয়ামে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা
প্রয়াত ও বর্তমান ক্রীড়াবিদদের (ক্রিকেটার, ফুটবলার ও অ্যাথলেট) ব্যবহৃত
দুর্লভ ক্রীড়াসামগ্রী, অটোগ্রাফ, ছবি ও বই থাকবে। ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি
বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক নানা তথ্যবহুল বই ও নিদর্শনও
স্থান পাবে। থাকবে কনফারেন্স রুম, কফিহাউস। মিউজিয়াম এলাকার মধ্যে নির্মিত
হবে অত্যাধুনিক কটেজ। সামনে খেলাধুলার জন্য মাঠ এবং শিশুদের জন্য পৃথক
বিনোদনের ব্যবস্থা।
সাঈদ উর রব ১৯৭৭ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স
চ্যাম্পিয়ানশিপে শটপুটে চতুর্থ এবং ডিসকাস থ্রো’তে তৃতীয়, ১৯৭৮ সালে প্রথম
বাংলাদেশ অলিম্পিকে শটপুটে দ্বিতীয় এবং ডিসকাসে প্রথম, ১৯৭৯ সালে শটপুটে
দ্বিতীয় এবং ডিসকাসে প্রথম, ১৯৮০ সালে দ্বিতীয় বাংলাদেশ অলিম্পিকে শটপুটে
প্রথম ও ডিসকাসে প্রথম, ১৯৮১ শটপুটে প্রথম ও ডিসকাসে প্রথম এবং একই
ধারাবাহিকতায় ১৯৮২, ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে দুটি ইভেন্টে প্রথম হন। ১৯৮৮ সালেও
প্রথম হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্ল–’ পাওয়া এই ক্রীড়াবিদ শটপুট ও
ডিসকাস ছাড়াও কুস্তিতে ১৯৮০ ও ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন এবং বডি
বিল্ডিংয়ে মি. ঢাকা (হ্যাভিয়েট) হন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৯৭৯ সালে
মেক্সিকোতে, ১৯৮০ সালে তুর্কিতে এবং ১৯৮৩ সালে কুয়েতে বিভিন্ন খেলায় অংশ
নেন। ১৯৮৮ সালে খেলাধুলা থেকে অবসর নিয়ে পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়।
সেখানে সাপ্তাহিক ঠিকানা’র সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন।