ঝিনুক ধরা নিয়ে ব্রিটিশ এবং ফরাসিদের মধ্যে সংঘর্ষ


অনলাইন ডেস্কঃ বিশেষ ধরনের ঝিনুক ‘‌স্ক্যালপ’‌ ধরা নিয়ে ব্রিটিশ এবং ফরাসি মৎস্যজীবীদের নৌকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে শুরু হয়ে বুধবার পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে ইংলিশ চ্যানেলে ফ্রান্সের নর্ম্যান্ডির কাছে। এসময় পরস্পরকে লক্ষ্য করে পেট্রল এবং বোতল বোমা, রকেট, গুলি ছোড়ে দু'দেশের মৎস্যজীবীরা।

জানা যায়, পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে চলে যায় যে, দু’‌দেশের নৌবাহিনী নামতে হয়। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে নাইজেরিয়া সফরের ফাঁকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সমস্যা সমাধানের দ্রুত আশাপ্রকাশ করে বলেন, এবিষয়ে দু’‌দেশই আলোচনায় বসবে।

প্রসঙ্গত, নর্ম্যান্ডির উপকূলে স্ক্যালপ ধরার জন্য ফ্রান্সের নির্দিষ্ট সময়সীমা হল ১ অক্টোবর থেকে ১৫ মে। তবে ব্রিটেনের এধরনের কোনও বাঁধাধরা সময়সীমা নেই। তারা যেকোনও সময়ই মাছ ধরতে পারে।

ব্রিটিশ মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে,নর্ম্যান্ডির যে এলাকায় তারা স্ক্যালপ ধরছিলেন, তখন তাদের নৌকাগুলিকে ঘিরে ধরে তাদের উপর বোমা, গুলি বর্ষণ করতে থাকে ফরাসি নৌকাগুলি।

ব্রিটিশ সরকারের তরফে সরকারি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের মৎস্যজীবীরা আইন লঙ্ঘন করেননি। যেখানে তাদের জন্য মাছ ধরা নির্দিষ্ট করা আছে ইংলিশ চ্যানেলে, সেখানেই তারা স্ক্যালপ ধরছিলেন। নর্ম্যান্ডির মৎস্য বিভাগের প্রধান দিমিত্রি রোগোফের পাল্টা অভিযোগ, ব্রিটিশ মৎস্যজীবীরা যে কোনও সময়ই স্ক্যালপ বা মাছ ধরতে পারে।

ফরাসিদের নির্দিষ্ট সময় দেওয়া আছে। ব্রিটিশদের অপেক্ষা করা উচিত ছিল ১ অক্টোবর পর্যন্ত। সেজন্যই ফরাসি মৎস্যজীবীরা ব্রিটিশ মৎস্যজীবীদের নৌকাগুলিকে বাধা দিচ্ছিল।

ফ্রান্সের আঞ্চলিক সমুদ্র এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিক ইনগ্রিড প্যারট জানান, মঙ্গলবার পাঁচটি ব্রিটিশ মৎস্যজীবীদের নৌকাকে ঘিরে ধরেছিল ৩৫টি ফরাসি মৎস্যজীবীদের নৌকা। তার অনুমান, ব্রিটিশ মৎস্যজীবীরা স্ক্যালপ ঝিনুক পেলেও ফরাসিরা না পাওয়াতেই গন্ডগোল বড় আকার নেয়।

প্যারটর সুরে সুর মিলিয়ে ব্রিটিশ মৎস্যজীবী কারডেলেরও অনুমান, মাছ ধরতে না পারার ব্যর্থতাই রাগ হয়ে ফুটে বেরিয়েছিল। তিনি আরও জানান, লিখিত চুক্তি  না থাকলেও পারস্পরিক বোঝাপড়া অনুযায়ী, প্রথমে ছোট ব্রিটিশ নৌকাগুলি প্রায় বেশিরভাগ মাছ, ঝিনুক তুলে নিয়ে চলে যায়। তারপর বড় ফরাসি নৌকাগুলি ঢোকে। কিন্তু তারা মাছ না পাওয়ার ফলেই বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন ফরাসি মৎস্যজীবীরা। 

Post a Comment

Previous Post Next Post