ঈদের ছুটিতে কমলগঞ্জ লাউয়াছড়া পর্যটকের ঢল


হিফজুর রহমান তুহিন: ঈদুল আযহার ছুটিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রং-বেরঙের ব্যানার ঝুলে রয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ঈদুল আযহার ছুটিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গাড়িতে ধরনের রং-বেরঙের ব্যানার। কেউ ব্যানারে লিখেছেন ‘ঈদ-মোবারক, শ্যামলীতে আনন্দ ভ্রমন’। আবার কেউবা লিখেছেন ‘ঈদের ছুটিতে আমরা ক’জনা’। কেউ ব্যানারে লিখেছেন ‘মাধবকুন্ডের জলপ্রপাতে আনন্দ ভ্রমণ’। দিন দিন মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে, ঠিক তেমনী বাড়ছে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভীড়। রংপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর সহ বিভিন্ন এলাকা হতে পর্যটকদের উদ্যানে বিচরন করতে দেখা গেছে মাধবকুন্ড, মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকাল হতে একটু বেশি। লাউয়াছড়া মিশ্র চিরহরিৎ এই বনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করায় বিশেষত ছুটির সময়ে অত্যধিক পরিমাণে পর্যটক, যানবাহনের হুড়োহুড়ি, গাছ চুরি, বনবিভাগের স্বল্প সংখ্যক লোকবল, শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক পানি, খাবার ও নিরাপদ বাসস্থান সংকট সব মিলিয়ে উদ্যানের জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে রীতিমত আসে, সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রংপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর সহ বিভিন্ন এলাকা হতে পর্যটকদের উদ্যানে বিচরন করতে দেখা গেছে মাধবকুন্ড, মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঈদের ছিন যদিও একটু কম ছিল, ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকাল হতে একটু বেশি দেখা যায়। 
রংপুর হতে আগত জামাল, সিলেট হতে আগত বদরুল মিয়া বলেন আসলে লাউয়াছড়া মিশ্র চিরহরিৎ এই বনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করায় বিশেষত ছুটির সময়ে অত্যধিক পরিমাণে পর্যটক, যানবাহনের হুড়োহুড়ি, গাছ চুরি, বনবিভাগের স্বল্প সংখ্যক লোকবল, শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক পানি, খাবার ও নিরাপদ বাসস্থান সংকট সব মিলিয়ে উদ্যানের জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে রীতিমত উৎকণ্ঠার বিষয় বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। 
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। উদ্যান ঘোষণার পর থেকেই সেখানে পর্যটকদের ঢল নামছে। উদ্যানের পাকিং-এর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ফতিরিক্ত কারসহ মোটরযান রাস্তার ধারে রাখায় মাঝে মাঝে বড় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের ছুটিতে প্রতিবছরই দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে ভীড় করেন। এজন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোহাইমীন মিল্টনসহ স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, সংরক্ষিত একটি বনে এমনিতেই নানা সমস্যা, তার উপর অধিক পরিমাণে পর্যটকের অবাধ চলাচল, হাল্লা চিৎকার ও হুড়োহুড়ি বন্যপ্রাণীর খাবার ও আবাসস্থলে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। এটি রোধ করা প্রয়োজন। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারী বন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, এ ঈদের অন্যান্য সময়ের তুলনায় পর্যটকের সমাগম অধিক ঘটেছে। তবে ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতি সব সময়েই বেশি হয়ে থাকে। অত্যধিক পর্যটকের কারণে কিছুটা বিঘ্ন হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়ায় তিনটি ট্রেল রয়েছে। দর্শনার্থীরা এই ট্রেল ঘুরেই চলে যান। এখানে গাইডরাও রয়েছে, এদের বলে দেওয়া হয়েছে যাতে পর্যটকরা এর বাইরে ও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাতে বন ও পরিবেশের ক্ষতি না করতে পারেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে এবং আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হবে না।ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রিত ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post