থাইল্যান্ড ভ্রমণের আগে সাবধান হোন!


অনলাইন ডেস্কঃ থাইল্যান্ডের নিয়মগুলো আপনার কাছে যতই অমূলক হোক না কেন এগুলো এই দেশের মূলের সাথে জড়িয়ে আছে। আপনি যেমন আপনার দেশের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করেন তেমনই একজন দায়িত্বশীল ভ্রমণকারী হিসেবে আপনাকে ভিনদেশের সংস্কৃতির প্রতিও শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তাই আগে থেকে জেনে নিন তাদের কিছু নিয়ম কানুন-

১. সৈকতে ধূমপানের ওপর কড়াকড়ি ছাড়াও থাই সরকার আরও নানান নতুন নিয়ম জারি করে চলেছেন পর্যটকদের জন্য। এই যেমন, যে কোনো দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা আছে মানেই আপনার সে দেশে যাওয়ার অনুমতি আছে। কিন্তু থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রে তা নয়। থাইল্যান্ড ভ্রমণে ভিসা তো লাগবেই, সাথে প্রয়োজন হবে ট্রাভেল ইন্সুরেন্স বা মেডিকেল ইন্সুরেন্স। কোনো প্রকার ইন্সুরেন্স ছাড়া আপনি থাইল্যান্ডে প্রবেশ করবেন আর সেই দেশে যেয়ে কোনো বিপদে পড়বেন এর দায়-দায়িত্ব থাইল্যান্ড সরকার নেবে না।

২. আপনি হয়তো বাজেট ট্রাভেলার। ভাবছেন খুব কম খরচে থাইল্যান্ড বেড়িয়ে চলে আসবেন। দুঃসংবাদ আপনার জন্য। নগদে বা ক্রেডিট কার্ডে আপনার ব্যালেন্স থাকতে হবে কমপক্ষে ৬০০ ডলার বা ২০,০০০ বাথ। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪৯ হাজার টাকা। ভিসা থাকলেও এই টাকা না থাকলে থাই স্বর্গ আপনার কাছে অধরাই রয়ে যাবে।

৩. সব দুঃসংবাদের মাঝে একটা সুখবর হল আপনার ভ্রমণের মেয়াদ যদি হয় ৩০ দিন তাহলে আপনার কোনো ভিসা ফি লাগবে না। বাংলাদেশি হিসেবে এই সুবিধা পাবেন আপনি।

৪. থাই রীতি অনুযায়ী, খাবার টেবিলে খেতে হবে চামচ দিয়ে। কাঁটা চামচ দিয়ে নয়। অর্থাৎ, খাবারের সাথে দরকার মতো ছুরি, কাঁটাচামচ আপনাকে দেওয়া হবে ঠিকই। তবে আপনি যদি কাঁটাচামচ দিয়ে মুখে খাবার তুলে খান তাহলে থাইরা ধরে নেবেন আপনি একজন নিম্ন রুচির মানুষ।

৫. থাইল্যান্ডে যায় মানুষ সমুদ্র দেখতে। আর সেই সমুদ্রের অসাধারণ ভিউ পয়েন্টগুলো প্রায় সবই কোনো না কোনো মন্দিরের আঙ্গিনায়। সারা থাইল্যান্ড আপনি শর্টস আর ট্যাংটপ পরে ঘুরে বেড়ান কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, মন্দিরে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে হাঁটু এবং কনুই ঢাকা কাপড় পরে।

৭. থাই রাজ্যে জুতার ক্ষেত্রে স্যান্ডেলই উত্তম। কারণ কারো বাসায় প্রবেশ করতে গেলে জুতা অবশ্যই খুলতে হবে আপনাকে। মন্দিরে গেলে তো খুলতে হবেই। স্যান্ডেল খোলাও সহজ আর হারালেও খুব একটা কষ্ট পাবেন না আপনি!

৮. থাইল্যান্ডে মনে করা হয়, পা হলো শরীরের সবচেয়ে অপবিত্র অঙ্গ। তাই আপনার পা সাবধানে রাখুন। পায়ের ওপর পা তুলে বসা তো অভদ্রতাই। এমনকি কোনো বৃদ্ধ ব্যক্তি আছেন বা কোনো মন্দির আছে এমন কোনো দিকে আপনার পা উঠে আছে দেখলেই বিরক্ত হবে থাইল্যান্ডের মানুষ।

৯. থাই মুদ্রা পা দিয়ে মাড়ানো আইনত অপরাধ।

১০. থাই রাজ পরিবার খুবই সম্মানিত। ভুলেও রাজপরিবার, রাজা-রাণী এবং রাজ সংস্কৃতি নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবেন না। নিজ দলের মাঝেও না। কোনো ভাবে এই বিষয় নজরে এলে ভিন দেশে বিপদ আপনার সুনিশ্চিত।

১১. থাইল্যান্ডে আপনি সব জায়গায় ছবি তুলতে পারবেন। তবে বুদ্ধের মূর্তির ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন। সেলফি তোলা বা অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা নিষেধ। অনুমতি নিয়ে ছবি তুললেও সেই ছবি নিয়ে থাই সীমানা পেরোনো যাবে না।

১২. থাইল্যান্ডবাসীরা বিশ্বাস করেন রাতে উচ্চস্বরে গান গাইলে, শিষ বাজালে বা বাঁশি বাজালে তা অশুভ আত্মাকে আমন্ত্রণ জানানোর সামিল। রাতে ঘুরাঘুরি করুন, সমস্যা নেই। কিন্তু অশুভ আত্মা ডাকতে যাবেন না যেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post